Trekkers Death In Uttarakhand: কফিনবন্দি হয়ে বাড়ি ফিরল ৫ বাঙালি ট্রেকারের দেহ

Uttarakhand: বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ২০ এবং ৭টা ২০ নাগাদ দিল্লি থেকে দেহ নিয়ে রওনা দেয় বিমানে।

Trekkers Death In Uttarakhand: কফিনবন্দি হয়ে বাড়ি ফিরল ৫ বাঙালি ট্রেকারের দেহ
উত্তরাখণ্ডে মৃত্যু ৫ বাঙালি ট্রেকারের (নিজস্ব চিত্র)

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 28, 2021 | 12:34 PM

কলকাতা: কথা ছিল ট্রেক শেষে বাড়ি ফিরবেন। যে যার নিজের মতো ফিরে যাবেন জীবনের নুড়ি কুড়োতে। কে জানত, এই ফেরাই শেষ ফেরা হবে সাগর, প্রীতম রায়দের? আজ বাড়ি ফিরছে উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয়ে মৃত ৫ ট্রেকারের কফিনবন্দি নিথর দেহ। শোকে স্তব্ধ পাঁচ পাহাড়িয়ার পরিবার।

বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ২০ এবং ৭টা ২০ নাগাদ দিল্লি থেকে দেহ নিয়ে রওনা দেয় বিমানে। গত ১০ অক্টোবর উত্তরাখণ্ডের খারকিয়া থেকে বাগেশ্বর ,জাটুলি, দেবীকুণ্ড, নাগকুণ্ড হয়ে কানাকাটা পাসে ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন সাগর দাসেরা। কিন্তু প্রবল বৃষ্টি ও তুষার ঝড়ের কবলে পড়ে আটকে যান সুন্দরডুঙ্গা হিমবাহের কাছে। এতদিন আবহাওয়া খারাপ থাকার বারবার ব্যাহত হচ্ছিল তাদের উদ্ধারকাজ। পরে সেই সুন্দরডুঙ্গা হিমবাহের কাছেই পাওয়া যায় পাঁচ ট্রেকার নিথর দেহ।

এদিকে, কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। সুজিত বসু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এসেছি। আজ ৫ জনের মৃতদেহ এখান থেকে পৌঁছে দেওয়া হবে তাঁদের পরিবারের কাছে। খুবই দুঃখজনক ঘটনা।”

রানাঘাটের প্রীতম ডাক্তারি পড়ছিলেন। আর এক বছর পরই ডাক্তারি পাশ করতেন তিনি। কিন্তু মনের টান ছিল পাহাড়ের প্রতি। আর সেই টানেই ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন তিনি। গত ১০ অক্টোবর পঞ্চমীর দিন বাগনানের পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে উত্তরাখণ্ডে যান প্রীতম। ১১ অক্টোবর বাড়িতে ফোন করে জানান, তাঁরা ঠিক আছেন। সেদিন বাগেশ্বরে ছিলেন তাঁরা। সেদিন থেকেই বাগেশ্বরের আবহাওয়া খারাপ হতে থাকে। ফোনের ওপারে ছেলের চিন্তামুক্ত গলা শুনে শান্তি পেয়েছিলেন গোপালপুরের গ্রামীণ চিকিত্‍সক প্রমিলকান্তি রায়। সেদিনই ছেলের সঙ্গে তাঁর শেষ কথা হয়েছিল। তারপর থেকে হাজারও চেষ্টা করে আর ফোনে যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। তারপর বুধবার আসে সেই খবর।

গত শনিবারই, উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিংয়ে গিয়ে মৃত আরও এক বাঙালি পর্যটকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। বছর তিরিশের তনুময় তিওয়ারির বাড়ি হরিদেবপুরের নেপালগঞ্জে। একটি গ্রুপের সঙ্গে ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মামা সুখেন মাঝিও। তনুময় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মী। তনুময়ের দেহ উদ্ধার করা গেলেও, তার মামাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয়ের খবর শোনার পর থেকেই আতঙ্কের প্রহর কাটাচ্ছিলেন তিওয়ারি পরিবারের সদস্যরা। সর্বদা চোখ রেখেছিলেন টিভির পর্দায়। প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। যতদিন কোনও খবর মেলেনি, বুকের মধ্যে আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। ভেবেছিলেন, হয়তো কোথাও আটকে পড়েছে, কিন্তু তাঁদের সন্তান সুরক্ষিত রয়েছে। কিন্তু তা মিথ্যা করেই অবশেষে আসে সেই খবর। উত্তরকাশীতে নিখোঁজ থাকা রিচার্ড মণ্ডলের দেহ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।

মৃত ট্রেকারদের তালিকায় রয়েছেন,সাধন বসাক, তিনি ঠাকুরপুকুর জায়গীর রোডের বাসিন্দা। এছাড়াও বিকাশ মাকাল, সৌরভ দাস, সাবিয়ান দাসের দেহ উদ্ধার হয়েছে।

আরও পড়ুন: Petrol Diesel Price Hike: লক্ষ্মীবারে সেঞ্চুরি পার ডিজেলের, নিজের মান বজায় রেখেছে পেট্রোলও!