BJP Leader Harassment: নিউটাউনে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

Salt Lake: সোমবার রাতে নিউটাউন থেকে পুজো শেষে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন বিজেপি কর্মী সৌভিক চক্রবর্তী। তিনি বিধান নগর মণ্ডল ১যুব মোর্চার ভাইস প্রেসিডেন্ট। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সমীর দাস। তিনি বিধাননগর মণ্ডল ১ জেনারেল সেক্রেটারি। জানা গিয়েছে, তাঁরা সকলে সল্টলেকের নয়াপট্টি বাজারের সামনে দিয়ে ফিরছিলেন।

BJP Leader Harassment: নিউটাউনে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল
আক্রান্ত বিজেপি নেতাImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 21, 2025 | 8:41 PM

সল্টলেক: পুজো দেখে বাড়ি ফেরার পথে বিজেপি কর্মীদের হেনস্থার অভিযোগ। এলাকার কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল কর্মীরা মারধরের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ উঠছে। এমনকী, আহতরা যাতে থানায় অভিযোগ জানাতে যেন না যায় সেই জন্য বেআইনি আগ্নেয়স্ত্র দিয়ে ছবি তুলে রাখা হয়েছে এমনটাই অভিযোগ বিজেপির বুথ কর্মীদের। যদিও,সব অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল।

সোমবার রাতে নিউটাউন থেকে পুজো শেষে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন বিজেপি কর্মী সৌভিক চক্রবর্তী। তিনি বিধান নগর মণ্ডল ১যুব মোর্চার ভাইস প্রেসিডেন্ট। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সমীর দাস। তিনি বিধাননগর মণ্ডল ১ জেনারেল সেক্রেটারি। জানা গিয়েছে, তাঁরা সকলে সল্টলেকের নয়াপট্টি বাজারের সামনে দিয়ে ফিরছিলেন। ঠিক সেই সময় ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়দেব নস্করের ভাইপো সৌরভ নস্কর বেশ কয়েকজন যুবককে নিয়ে পথ আটকায় বলে অভিযোগ। এরপরই শুরু হয় বচসা এবং গালিগালাজ। অভিযোগ, তারপর আটকে রেখে ভোররাত তিনটে পর্যন্ত দুই বিজেপি কর্মীকে ব্যাপকভাবে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি থানায় গিয়ে যাতে তাঁরা অভিযোগ জানাতে না পারেন সেই কারণে তাঁদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ছবি তুলে রাখা হয়। একইসঙ্গে হুমকি দেওয়া হয় যে,যদি অভিযোগ জানায় তাহলে সেই ছবি পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করিয়ে দেওয়া হবে।

পরে আতঙ্কিত বিজেপি কর্মীরা বিধান নগরের বিজেপি কর্মীরা ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। সমস্ত ঘটনার তদন্ত করছে ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।

বিজেপি নেত্রী মলি পাল বলেন, “জনগণের কাছে বিজেপিই ভরসা। রাজ্যবাসী তৃণমূল দ্বারা আক্রান্ত। ২০২৬ বিজেপিকে আসতেই হবে। নয়ত এরা সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করবে। ওরা ভাবছে আমরা হয়ত ভয় পেয়ে ঘরে ঢুকে যাব। কিন্তু আমরা মার খেলেও প্রতিবাদ করব।” আক্রান্ত বিজেপি নেতা সৌভিক চক্রবর্তী বলেন, “আমরা দাঁড়িয়েছিলাম। সেই সময় ওরা যাচ্ছিলেন আর এসে মারধর করেছে। ওরা বলছে আমরা নাকি গালাগালি করেছি। কিন্তু এমন কিছুই ঘটেনি।” ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর জয়দেব লস্কর বলেন, “ভোটের আগে দলকে বদনাম করতেই এমন সব বলছে।”