কলকাতা : দলে নতুন করে , ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট সূত্রের খবর, দলের সংগঠনের বিভিন্ন স্তরে বদল করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং এটি মোটের উপর চূড়ান্ত। শাখা সংগঠন হোক বা মূল দল, সব ক্ষেত্রেই ঢেলে সাজানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর সে সব নিয়েই বৈঠকে বসতে চলেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দু’এক দিনের মধ্যে সেই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। আর তা হওয়ার কথা তৃণমূল রাজনীতির বর্তমান শক্তিকেন্দ্র ২০ প্রিয়নাথ মল্লিক লেনে, যা আদতে তৃণমূলের নবনিযুক্ত সর্বভারতীয় সহ সভাপতি সুব্রত বক্সীর অফিস বলে পরিচিত। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে তৃণমূলের অন্দরে শীর্ষ তলায় যে আড়াআড়ি বিভাজনের খবর পাওয়া যাচ্ছিল, সেই চর্চায় জল ঢেলে ফের একবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদে এককভাবে বসিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেককে তাঁর দায়িত্ব ফিরিয়ে দিলেও, এবার দলের উচুঁ তলায় এক ভারসাম্য বজায় রাখতে চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে, অভিষেকের পাশাপাশি দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতির দায়িত্ব সুব্রত বক্সী, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং যশোবন্ত সিনহাদের বসানো হয়েছে। উল্লেখ্য এই প্রত্যেকেই তৃণমূলের অন্দরে মমতার একেবারে ঘনিষ্ঠ বৃত্তের বলে পরিচিত। উচুঁ তলার নেতৃত্বের দায়িত্ব ঢেলে সাজানোর পর এবার মমতা নজর দিয়েছেন দলের শাখা সংগঠনগুলির দিকে।
কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল, তৃণমূলের নতুন রাজ্য কমিটি গঠনের চিন্তা ভাবনা করছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে নবীন ও প্রবীণের এক ভারসাম্য রাখার কথা ভাবছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বেশ কিছু নতুন মুখও এবারের রাজ্য কমিটিতে দেখা যেতে পারে বলে খবর। জানা গিয়েছে, আগামী মাসেই এই বদল করার পথে হাঁটতে পারে তৃণমূল। এর পাশাপাশি দলের বিভিন্ন শাখা সংগঠনগুলির ক্ষেত্রেও বদল আনার চিন্তাভাবনা রয়েছে রাজ্যের শাসক দলের। সাম্প্রতিক অতীতে তৃণমূলে যখন আড়াআড়ি বিভাজন ঘিরে জোর জল্পনা ছড়িয়েছিল, সেই সময় বিশেষ করে দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনের মধ্যে সেই বিভাজনের চিড় সবথেকে বেশি প্রকট হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে গোটা সাংগঠনিক ব্যবস্থাকেই ঢেলে সাজাতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন : TMC-Governor clash: ‘চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়’, মুখপত্রে রাজ্যপালের সমালোচনা শাসক দলের