TMC Goa: আরব সাগর তীরেও এবার ঘাসফুল, গোয়ায় পৌঁছলেন ডেরেক, প্রসূনরা
Goa: আগামী বছরই গোয়ায় বিধানসভা ভোট। ফেব্রুয়ারিতে ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
কলকাতা: আপাতত বড় রাজ্য নয়। টার্গেট ছোট রাজ্য। সেই লক্ষ্যের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই গোয়ায় (Goa) ঘাসফুল ফোটাতে চায় তৃণমূল নেতৃত্ব। গোয়ায় রীতিমতো সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক (IPAC)। শুক্রবারই উপকূলের সে রাজ্যে পৌঁছেছেন তৃণমূলের দুই সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং প্রসূন বন্দ্যোপধ্যায়। তৃণমূল (Trinamool Congress) সূত্রে খবর, আগামী সাতদিন সেখানেই থাকবেন তাঁরা। একাধিক নেতার সঙ্গে বৈঠকও করবেন।
আগামী বছরই গোয়ায় বিধানসভা ভোট। ফেব্রুয়ারিতে ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। শোনা যাচ্ছে, সেই নির্বাচনের প্রচারে যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
২০১৭ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস ১৭টি আসন জিতেছিল। বিজেপির হাতে গিয়েছিল ১৪টি আসন। বেশি আসন পেয়েও ক্ষমতা পায়নি কংগ্রেস। হাত ছেড়ে সে সময় বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়েছিল। ফলে ক্ষমতার মসনদে বসে গেরুয়া দল। এবার সেই গোয়াকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
কিন্তু কেন গোয়া? আপাতত স্থির হয়েছে, ছোট ছোট রাজ্যগুলিতে প্রভাব বিস্তার করা। কারণ, সেখানে রাজনৈতিক পদার্পণ কিয়দংশে সুবিধাজনক। অর্থ কম খরচ হয়, বড় রাজ্যের তুলনায় সংগঠন বিস্তারে কম সময় ব্যয় করতে হয়। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, আপাতত পশ্চিমবঙ্গের বাইরে ছোট ছোট রাজ্যেই পা রাখা হবে, এটাই দলের কৌশল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তাঁর লক্ষ্য অন্য রাজ্যেও ঘাসফুলের প্রভাব বাড়ানো। সেই লক্ষ্যেই ত্রিপুরা, অসম, উত্তর প্রদেশের পর এবার গোয়ায় নজর।
সূত্রের খবর, গত এক মাসের বেশি সময় ধরে আইপ্যাকের প্রায় ২০০ জন কর্মী সমীক্ষার কাজ চালিয়েছেন গোয়ায়। প্রাথমিক সমীক্ষার একটা রিপোর্টও জমা পড়েছে বলেই সূত্রের দাবি। সেই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা-সহ অন্যান্য আরও বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোকপাত করতে শুক্রবারই গোয়ায় পৌঁছেছেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। রয়েছেন হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আগামী সাত থেকে দশদিন গোয়াতেই থাকার কথা তাঁদের।
সামগ্রিক ভাবে সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন গোয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। সংগঠন বিস্তারে কী ভাবে কোন কৌশলে সে রাজ্যে এগোনো যায় তারই একটা খসড়া তৈরি হতে পারে এই দুই সাংসদের গোয়া সফরে। জানা যাচ্ছে, এরপর ফেব্রুয়ারিতে বিধানসভা ভোটের আগে সে রাজ্যে যেতে পারেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেতে পারেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
প্রসঙ্গত ভবানীপুরের উপনির্বাচনে প্রচারে গিয়ে বৃহস্পতিবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দল গোয়া, ত্রিপুরা, উত্তর প্রদেশ, অসমে যাচ্ছে। তার আগে এই উপনির্বাচন আমাদের গোটা দেশে লড়াই করার শক্তি জোগাবে। আমরা অন্যান্য রাজ্যেও লড়ব। আমরা ত্রিপুরায় লড়াই করব, অসমে খেলা হবে, গোয়াতে খেলা হবে, ইউপিতে খেলা হবে।”