কলকাতা: আবারও নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল। রাজ্যে দ্রুত উপনির্বাচনের দাবিতে ফের নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। শুক্রবার বেলা আড়াইটে নাগাদ নির্বাচন কমিশনের চিফ ইলেকটোরাল অফিসারের দফতরে যাবে তারা। প্রতিনিধি দলের একটাই দাবি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উপনির্বাচন সম্পূর্ণ করা হোক।
২ মে’র পর থেকে রাজ্যের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র বার বার শিরোনামে উঠে এসেছে। এর মধ্যে দু’টিতে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন বাকি। পাঁচটিতে উপনির্বাচন বাকি রয়েছে। উপনির্বাচন হবে ভবানীপুর কেন্দ্রে। কারণ, এখানে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রার্থী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। নন্দীগ্রামে হারের পর ছ’ মাসের মধ্যে কোনও একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। এই প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন, তাড়াতাড়ি উপনির্বাচন করতে। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই দাবি করেন তিনি।
যদিও এ নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই বিজেপির কোনও না কোনও নেতা শাসকদলকে এক হাত নিচ্ছেন। তাঁদের দাবি, সরকার ট্রেন বন্ধ করে রেখেছে, স্কুল কলেজ বন্ধ, কার্যত লকডাউন রাজ্যজুড়ে। এ ক্ষেত্রে সরকার বলছে সংক্রমণের কথা। অথচ ভোটের দাবিতে অন্য সুর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের গলায়।
১. দিনহাটা
২. ভবানীপুর
৩.খড়দহ
৪. গোসাবা
৫. শান্তিপুর
১. সামশেরগঞ্জ
২. জঙ্গিপুর
সূত্রের খবর, রাজ্যের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি সমীক্ষা করে চলতি মাসের শেষে বা সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতেই উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিতে পারে কমিশন। এমনও শোনা গিয়েছে, ভবানীপুর-সহ মোট পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে ফার্স্ট লেভেল চেকিং বা এফএলসি (FLC)ও শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাধারণত, উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগের পদক্ষেপ হিসেবেই দেখা হয় এই প্রক্রিয়াকে। কোনও কেন্দ্রের বিধায়ক ইস্তফা দিলে বা নির্বাচন বাতিল হয়ে যাওয়ার তিন মাসের মধ্যেই এফএলসি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেয় কমিশন। এরই মধ্যে শুক্রবার ফের নির্বাচন কমিশনের সিইও দফতরে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। আরও পড়ুন: WBJEE 2021 Result: শুক্রবারই জয়েন্টের ফলপ্রকাশ, কী ভাবে ফলাফল দেখবেন, জেনে নিন