কলকাতা : বাম আমলে দেদার নিয়োগ হয়েছে চিরকুটে। স্বজনপোষণের অভিযোগে তৃণমূলের কাঠগড়ায় সুশান্ত ঘোষের মতো দাপুটে বাম নেতা। নাম জড়িয়েছে সুজন চক্রবর্তীরও (Sujan Chakraborty)। সরব হয়েছেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), ব্রাত্য বসুর মতো শাসকদলের বড় মুখেরা। সোশ্য়াল মিডিয়ায় লাগাতার ভাইরাল হতে শুরু করে বামেদের (CPIM) একাধিক চিরকুট। যা নিয়ে চাপানউতর চলতে থাকা রাজনৈতিক মহলে। এবার এই ইস্যুতে ফের মুখ খুললেন মমতার ক্যাবিনেটের হেভিওয়েট মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বললেন, “চিরকুট না লিস্ট জানিনা। এটা নিশ্চিত যে বাম আমলে নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাকরি হয়েছে। সেই চাকরি না হলে, সব বাম নেতাদের বাড়ির লোক বা স্ত্রী চাকরি পায় কিভাবে? আমরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত।” যদিও কদিন আগে খানিক অন্য কথা বলতে দেখা গিয়েছিল ফিরহাদকে।
রাজ্যের শাসকদলের নেতারা যখন চিরকুটে চাকরির তত্ত্ব খাঁড়া করতে ব্যস্ত, তখন ফিরহাদ বলেছিলেন “চিরকুটে কোনওদিন লোক ঢোকানো যায় না। অন্তত একটা অ্যাপ্লিকেশন লাগে। আগে যখন সার্ভিস কমিশন ছিল না, বা নিয়োগ সংক্রান্ত নিয়ম ছিল না, তখনও আমাদের স্কুলগুলিতে দেখেছি… গভর্নিং বডি বসে শিক্ষক বাছাই করত। প্রধান শিক্ষিকা একটি প্যানেল তৈরি করতেন তিনজনের। সেটি সত্তরের দশকে দেখা যেত।” ফিরহাদের এই সুর বদল নিয়ে কটাক্ষ করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
ফিরহাদের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “একটা কথা স্পষ্ট ,কিছুদিন আগেও তৃণমূল নেতারা একসুরে বলতো। আইপ্যাক ঠিক করে দিত তাঁরা কী বলবেন। বাকি সবাই তা শুনে হুক্কাহুয়া করতো। এখন দিনহাটা থেকে আলিপুর নানান ভাষায় নানা কথা ব্যাখ্যা হচ্ছে। তারমানে তৃণমূলের ছন্দপতন ঘটেছে। প্রতিদিন যেভাবে টাকার পাহাড় বেরিয়ে আসছে,যেভাবে সম্পত্তির লিস্ট বেরিয়ে আসছে, যেভাবে চোরদের তালিকা বেরিয়ে আসছে, যেভাবে স্কুল সার্ভিস কমিশন, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন পরীক্ষার রেজাল্ট, খাতা, অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া যাচ্ছে তাতে তৃণমূল ভীষণভাবে আপসেট। ভূমিকম্পে সবকিছু যেমন নড়ে, তৃণমূলের এখন সেই অবস্থা।” অন্যদিকে এদিন ফের সুজন চক্রবর্তীর করা আরও এক চাকরির সুপারিশ চিরকুট ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সুজন চক্রবর্তী তাঁর সাংসদ প্যাডে প্রাক্তন মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর কাছে প্রবীর মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির চাকরির সুপারিশ করছেন। যা নিয়েও চাপানউতর চলছে রাজনৈতিক মহলে। অন্যদিকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরিবারের ১৫ জন সদস্যকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে।