
কলকাতা: ত্বহা বলছেন, কাশেমকে নিয়ে আখেড়ে ক্ষতিই হতে পারে তৃণমূলের। ক্ষোভ তৈরি হয়েছে মুসলিম সমাজের। তার লাভ ঘরে তুলতে পারে নওশাদরা। শুধু ভাঙড় নয়, আরও দু’-একটি আসনে জিতে যেতে পারে আইএসএফ। তৃণমূলের উপর চাপ বাড়িয়েই চলেছে নওশাদরা। পাল্টা অ্যাটাকিং মোডে শওকত। এবার সরাসরি ছুড়ে দিলেন চ্যালেঞ্জ। টেনে আনলেন শেষ বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেস ‘জোটের’ অন্যতম বড় মুখ আব্বাস সিদ্দিকীকেও। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড়ের দাপুটে নেতা শওকত মোল্লার সাফ কথা, “বাপের বেটা হলে, সত্যি করে মায়ের দুধ খেয়ে থাকলে দুই বিধানসভায় (ভাঙড় ও ক্যানিং পূর্ব) দুই ভাই দাঁড়িয়ে যাক। দুই জায়গাতেই ওদের যদি ল্যাজেগোবরে করে দিতে না পারি তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। এটা আমি অন ক্যামেরা চ্যালেঞ্জ করে বলছি।” এদিকে একুশের ভোটের পর আর সেইভাবে প্রত্যক্ষভাবে ভোটের ময়দানে দেখা যায়নি আব্বাস সিদ্দিকীকে। শেষবার গত বছর ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন বেশ কিছু কর্মসূচিতে দেখা যায় তাঁকে। তবে সবই অরাজনৈতিক ব্যানারে।
তবে এই প্রথম নয়, আর আগেও একাধিরবার নওশাদ শিবিরের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন শওকত। খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, “কথায় আছে কুঁজোরও চিৎ হয়ে শওয়ার ইচ্ছা হয়। নওশাদ সিদ্দিকীর অবস্থা হয়েছে তেমন। আগে বলেছিল ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। কিন্তু, ঠিক সময়ে ল্যাজ গুটিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। ২০২৬ সালে ভাঙড় থেকে নওশাদ গোহারা হারবে। এটা আমি চ্যালেঞ্জ করে বলে যাচ্ছি। একশো শতাংশ হারবে।”
যদিও ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী বলছেন, কাশেম রাজ্য সম্পাদকের পদ পাওয়ায় সংখ্যালঘুদের মধ্য়ে ক্ষোভের পাহাড় জমা হচ্ছে। ছাব্বিশের নির্বাচনে মুসলিম সমাজ ভয়ঙ্কর খেলা খেলবে। তবে তাঁকেও ছেড়ে কথা বলেনি শওকত। তাঁর দাবি, এসব বলে আসলে গোটা মুসলিম সমাজকে ভুলপথে চালানোর চক্রান্ত হচ্ছে।