কলকাতা: রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের সঙ্গে তাঁর বিরোধের কথা প্রায়শই শোনা যায় রাজনৈতিক মহলে। সম্প্রতি হাওড়ার (Howrah) বাকসাড়ার একটি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে নাম করে তাপসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে দেখা গিয়েছিল হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Trinamool MP Prasun Banerjee)। এমতাবস্থায় এবার ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে টিভি-৯ বাংলার (TV-9 Bangla) ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাটার্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের ‘মন খারাপের’ কথা শোনালেন প্রসূন।
প্রসূনের সাফ কথা, “আমি এখন রাজনীতিবিদ। কিন্তু ফুটবলটা রক্তে রয়েছে। তবে রাজনীতিটা রক্তের মধ্যে ঢোকানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু পারছি না।” একইসঙ্গে নিজের রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গে ক্রীড়া জীবনের তুল্যমূল্য বিচার করতে গিয়ে খানিকটা দুঃখের সঙ্গেই তাঁকে বলতে শোনা গেল, “রাজনীতিতে এক এক সময় মানাতে পারি না। মানিয়ে নেওয়াটাও গায়ে জ্বালা দেয়। ফুটবলে যেমন একজন প্লেয়ার ভাল না খেললে বলতে পারতাম। এখানে বলতে পারি না। আমার বলাটা যদি ক্ষতিকারণ হয়, তাই আমার মনে হয় চুপ করে থাকাটাই ভাল।”
একইসঙ্গে আইএফএ ও মোহনবাগানের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আইএফএ বা মোহনবাগান ক্লাব কোনও সময়ই আমাকে কাজে লাগল না। সত্যিই আমার খুব মন খারাপ হয়। আমি খেলা পাগল লোক, আমি খেলা শিখেছি, খেলা করেছি, খেলা নিয়ে পড়াশোনা করেছি, লিখেছি। কিন্তু কোথাও যেন একটা আমাকে তালা মারা হয়েছে।” সরকারও আপনারে ব্যবহার করে না? এ প্রশ্নের উত্তরে প্রসূনের সাফ জবাব, “আমাকে একটা কমিটিতে রেখেছে। কমিটাটা কমিটির মতোই রয়েছে। কমিটিটা খেল সম্মান দেওয়ার মতো কাজ করে থাকে। কিন্তু আমি ওটা আর চাইছি না। আমি চাই মাঠে নেমে কাজ করতে।”
দলে কী দুই ক্যাপ্টেন হয়ে গেলে সমস্যা তৈরি হয়? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দলে যে দুই ক্যাপ্টেন আছেন তাই মানতে নারাজ প্রসূন। তিনি বলনে, “অভিষেক দলে সেকেন্ড ক্যাপ্টেন হতে পারেন। কিন্তু আসল ক্যাপ্টেন মমতাই। ভারতবর্ষের ইতিহাসে আমার ধারনা ১০০ বছরে একটা মমতা জন্মাবে। মমতার জায়গায় কেউ আসতে পারবে না।” এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, “দিদি যতদিন আছেন আমি দলে থাকব। উনি আমার লিডার। ওনার গায়ে যদি কালো দাগ কেউ দেখাতে পারে তাহলে সেদিন আমি সব ছেড়ে বেরিয়ে যাব।”