Sukhendu Shekhar Roy: অন্য রাজ্যকে ভূরি ভূরি টাকা দিয়েছে, কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণ প্রকট হচ্ছে : সুখেন্দু

Sukhendu Shekhar Roy: গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ২৮ শে জুলাই পর্যন্ত দেওয়া তথ্য যা বলছে, ১০০ দিনের কাজের খাতে এক টাকাও আসেনি বাংলায়। তা নিয়েও বেড়েছে উদ্বেগ।

Sukhendu Shekhar Roy: অন্য রাজ্যকে ভূরি ভূরি টাকা দিয়েছে, কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণ প্রকট হচ্ছে : সুখেন্দু
তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। ফাইল চিত্র।

| Edited By: জয়দীপ দাস

Aug 09, 2022 | 10:55 PM

কলকাতা: ১০০ দিনের কাজের (100 Days Work) টাকা বন্ধ নিয়ে বিগত কয়েক মাসে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। অন্যদিকে একাধিক সরকারি প্রকল্পের নাম বদল নিয়েও বেড়েছে চাপানউতর। এরমধ্যে এবার এই ইস্যুতে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানাতে দেখা গেল তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়কে(Trinamool MP Sukhendu Shekhar Roy)। তীব্র কটাক্ষবাণ শানিয়ে তিনি বলেন, “নাম পাল্টানো কোনও কারণ নয়। ২৩টি প্রকল্পের নামের মধ্যে ১৯টির নাম কেন্দ্র পাল্টেছে। কারও সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। ৪০ শতাংশ টাকা রাজ্য দেয়। আমাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে না কেন? এটা একটা অজুহাত। পুরোটাই রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

এদিন সুখেন্দুকে আরও বলতে শোনা যায়, “বাংলা ছাড়া অন্য রাজ্যকে ভূরি ভূরি টাকা দিয়েছেন। বাংলার বিরুদ্ধে একটা রাজনৈতিক অবরোধ সৃষ্টি করতে চাইছে। বরাদ্দের টাকা কমে গিয়েছে। বাংলার গরীব মানুষের ভাতে মারতে চাইছে কেন্দ্র। কিছু বিজেপি নেতা বলেছেন এ রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ খুব খারাপ। কিভাবে তারা একথা বলেন? টাকা দেবে না, তাই বিভিন্ন অজুহাত দিচ্ছে। ১০০ দিনের কাজ ম্যান্ডেটরি। ১৫ দিনের মধ্যে টাকা পাওয়া অধিকার। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১.১১ কোটি লোককে কাজ দেওয়া হয়েছে। এই খাতে ৭ হাজার ১৩০কোটি টাকা পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এখনও বাকি ২৮০০ কোটি। এই বছর জানুয়ারি মাস থেকে টাকা দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণ প্রকট হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বিজেপি বিরোধী সরকারকে বিপাকে ফেলতে চাইছে কেন্দ্র।”  

গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ২৮ শে জুলাই পর্যন্ত দেওয়া তথ্য যা বলছে, ১০০ দিনের কাজের খাতে এ টাকাও আসেনি বাংলায়। টাকা বরাদ্দ সংক্রান্ত তৃণমূল সাংসদ জহর সরকারের প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য সামনে এনেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। তাতেই দেখা যাচ্ছে মনরেগা প্রকল্পে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে যা বরাদ্দ করা হয়েছিল, তা ২০২০-২১ অর্থবর্ষের তুলনায় ৪ হাজার কোটি টাকা কম। এই তথ্য সামনে আসতেও তা নিয়ে প্রশাসনিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চাপানউতর।