
কলকাতা ও মুর্শিদাবাদ: ফের বেলাগাম হুমায়ুন। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে অস্বস্তি বেড়েই চলেছে দলের। সূত্রের খবর, ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ককে নিয়ে ফের বৈঠকে বসতে চলেছে দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। বৈঠকের আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সদস্যরা। আগামী সপ্তাহেই এই বৈঠক হতে পারে বলে খবর। ইতিমধ্যেই শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির তরফে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগও করছেন বলে জানা যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহের যে কোনওদিনই হতে পারে আলোচনা।
বিগত কয়েকদিন ধরেই জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার থেকে শাখা সংগঠনের সভাপতিদের কার্যত নাম ধরে ধরে তোপ দেগে চলেছেন হুমায়ুন। গোটা জেলায় যাঁরা বিভিন্ন রাজনৈতিক পদে আছে তাঁরা আগে কোথায় কোথায় ছিল, কীভাবে পদপ্রাপ্তি হয়েছে তাঁদের সব কথা সামনে এনে তাঁদের ছবি দেওয়ালে টাঙানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এরপরই কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “আমাকে দল থেকে বের করে দেওয়া হোক। আমি বেরিয়ে যেতে চাইছি। তারপর আমি বোঝাবো এই জেলার রাজনীতি কাকে বলে!”
তবে গল্প এখানেই শেষ নয়। হুমায়ুনের সাফ কথা অপূর্বই ইডিকে দিয়ে গ্রেফতার করিয়েছেন জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। অকপটেই বলেন, “আমার কাছে তথ্য় আছে ঠিক সময়ে দেব। জীবনকৃষ্ণ সাহার বাবা বিশ্বনাথ সাহাকে প্রভাবিত করে এই জেলা সভাপতি কী করে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করিয়েছে তা ঠিক সময়ে তথ্য দিয়ে বলব।” শুধু অপূর্ব নয়, বহরপুরের সাংসদ ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছেন তিনি। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর চলছেই।