নয়া দিল্লি: রাত পোহালেই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন(Election of Vice President)। এদিকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস(Trinamool Congress)। আগেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। কিন্তু, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কী ভোট দেবেন শিশির অধিকারী (Shishir Adhikari) এবং দিব্যেন্দু অধিকারী? কাঁথির অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমানে কোনও সম্পর্ক না থাকলেও শান্তিকুঞ্জের পিতা-পুত্র এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। আর সে কারণেই তাঁরা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল।
সূত্রের খবর, শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারীকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটদানে বিরত থাকার জন্যই দুজনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে খবর। চিঠির বিষয়ে দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা চিঠি পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে ভোট দিতে দিল্লি যাবেন নাকি ভোটদানে বিরত থাকবেন সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তাঁরা নেননি বলে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, এবারের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ শিবির থেকে দাঁড়াচ্ছেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। অন্যদিকে ধনখড়ের উল্টোদিকে বিরোধী শিবির থেকে দাঁড়াচ্ছেন মারার্গেট আলভা।
এদিকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে তৃণমূলের সরে দাঁড়ানোয় তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা শুরু হয়েছিল জাতীয় রাজনীতির আঙিনায়। এমনকী চব্বিশের লোকসভা ভোটে বিরোধী জোটে তৃণমূলের অবস্থান কী হবে তা নিয়েও শুরু হয়েছিল জল্পনা। যদিও এ প্রসঙ্গে গত মাসেই সাংবাদিক বৈঠকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট করতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যে ভাবে কোনও আলোচনা না করে শেষ মুহূর্তে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঠিক হয়েছে তাতেই তৃণমূল সর্বস্তরের সাংসদরা ঠিক করেছেন তৃণমূল আগামী ৬ তারিখ ভোটদানে বিরত থাকবেন।” অন্যদিকে শেষ বিধানসভা ভোটের আগে থেকে কাঁথির অধিকারীর পরিবারের সঙ্গে মমতা ব্রিগেডের সম্পর্ক কার্যত তলানিতে এসে ঠেকে। সেখানে একেবারে শিশির-দিব্যেন্দুকে তৃণমূলের চিঠি যে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ তা মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।