ব্যাঙ্কের সব ডেটা ফাঁস, গভীর রাতে হ্যাক করা হল নিউ টাউন থেকে!
Cyber Attack: সংস্থার আভ্যন্তরীণ তদন্তে দেখা গিয়েছে, রিমোট কোনও সিস্টেম থেকে গভীর রাতে হ্যাক করা হয় ব্যাঙ্কের সার্ভার। সংস্থার নিজস্ব তদন্তে ইঙ্গিত মিলেছে, এই রাজ্যের একটি জায়গা থেকে ল্যাপটপ ব্যবহার করে হ্যাক করা হয় ব্যাঙ্কের সিস্টেম।
নিউ টাউন: সাইবার হানার শিকার ত্রিপুরার রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক। আর সেই কেলেঙ্কারির শিকড় মিলল বাংলায়। নিউটাউনের অফিসে থাকা সার্ভার থেকে তথ্য চুরি যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিধাননগর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।
ত্রিপুরা রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কের আগরতলা শাখার প্রধান অফিস ছাড়াও কলকাতার নিউ টাউনে একটি অফিস রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যাঙ্কের শীর্ষকর্তা বিশ্বনাথ মজুমদার বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানান। এরপরই শুরু হয় তদন্ত।
ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ৫ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে তাদের সার্ভার থেকে ডেটাবেস তথা গ্রাহকদের তথ্য চুরি গিয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু গোপন আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথিও চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ। সংস্থার সাইবার নিরাপত্তার সঙ্গে যে কর্মীরা যুক্ত, তাঁরাই প্রথমে বিষয়টি নজরে আনেন।
এই খবরটিও পড়ুন
সংস্থার আভ্যন্তরীণ তদন্তে দেখা গিয়েছে, রিমোট কোনও সিস্টেম থেকে গভীর রাতে হ্যাক করা হয় ব্যাঙ্কের সার্ভার। সংস্থার নিজস্ব তদন্তে ইঙ্গিত মিলেছে, এই রাজ্যের একটি জায়গা থেকে ল্যাপটপ ব্যবহার করে হ্যাক করা হয় ব্যাঙ্কের সিস্টেম। সেখান থেকে চুরি করা হয়েছে ব্যাঙ্কের গ্রাহক সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য। সেই সঙ্গে চুরি গিয়েছে আর্থিক সমস্ত তথ্য।
ব্যাঙ্কের শীর্ষকর্তাদের আশঙ্কা, এই তথ্য ব্যবহার করে বড়সড় আর্থিক প্রতারণা হতে পারে। তাই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই, ব্যাঙ্কের আইটি বিভাগের প্রধানকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে কলকাতায়। তিনি সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। তথ্য প্রযুক্তি আইনে এফআইআর নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর পুলিশ।
এই সাইবার হানার পিছনে সংস্থার ভিতরের কারও যোগাযোগ থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, যে ভাবে এই তথ্য চুরি হয়েছে, সেখান থেকে স্পষ্ট , উন্নত প্রযুক্তিতে সাইবার হামলা করা হয়েছে।