AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Recruitment Scam: চিরকুটে নয়, একেবারে MLA লেটারহেডে চাকরির সুপারিশ পার্থর কাছে! স্বীকার করে নিলেন খোদ তৃণমূল বিধায়কই

Primary Job Recommendation: মোট ১১ জনের নাম ও রোল নম্বর সহ চাকরির জন্য সুপারিশ করে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থকে চিঠি লিখেছিলেন শাসক দলের বিধায়ক।

Recruitment Scam: চিরকুটে নয়, একেবারে MLA লেটারহেডে চাকরির সুপারিশ পার্থর কাছে! স্বীকার করে নিলেন খোদ তৃণমূল বিধায়কই
পার্থকে পাঠানো চিঠি
| Edited By: | Updated on: Mar 21, 2023 | 3:41 PM
Share

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে রাজ্যে। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৎকালীন একাধিক শিক্ষাকর্তা। এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য টিভি নাইন বাংলার হাতে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে একেবারে সোজাসুজি চাকরির সুপারিশ করেছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক। চিঠি লিখেছিলেন নিজের লেটারহেডেই। চিঠিটি ২০২০ সালের। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সেই চিঠিটি লিখেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক। মোট ১১ জনের নাম ও রোল নম্বর সহ চাকরির জন্য সুপারিশ করে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থকে চিঠি লিখেছিলেন শাসক দলের বিধায়ক।

যে চিঠি এক্সক্লুসিভ টিভি নাইন বাংলার হাতে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর লেখা ওই চিঠির সাবজেক্টে মোটা হরফে লেখা হয়েছে প্রাথমিকে স্কুলে নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের সুপারিশ। তালিকায় রয়েছে মোট ১১জনের নাম। উল্লেখ্য, তার কিছু সময় আগেই ১৬ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৪ সালের টেট পাশ প্রশিক্ষিতদের ১৬ হাজার ৫০০ আসনে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। ২৩ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল এই সংক্রান্ত। আর তারপরই ডিসেম্বরে এই চিঠি লেখা হয়েছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।

কেন ওই ১১ জনের নাম সুপারিশ করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস মালিক? জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল বিধায়কের সঙ্গে। টিভি নাইন বাংলা এই চিঠির বিষয়ে প্রশ্ন করতেই তাপস মালিকের জবাব, ‘বিষয়টি আমার এখন মনে নেই। বিধায়কদের কাছে মানুষের প্রত্যাশা থাকে। হয়ত, মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলাম। হতেই পারে। না দেখলে বলতে পারব না।’ তাপসবাবুর ব্যাখ্যা, সাধারণ মানুষ বিভিন্ন প্রত্যাশা নিয়ে বিধায়কদের কাছে আসেন। সেই মতো মন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়, যদি সেটি করে দেওয়া হয়। যদিও বিধায়কের দাবি, এদের মধ্যে কারও চাকরি হয়নি। কিন্তু পর্ষদের মেধাতালিকার হিসেব বলছে, সুপারিশের ১১ জনের মধ্যে ২ জনের নাম রয়েছে মেধা তালিকায়।

তবে এই ধরনের সুপারিশে অবাক হওয়ার কিছু নেই বলেই বুঝিয়ে দিয়েছেন বিধায়ক। বললেন, ‘আমরা টুকটাক করে সব মন্ত্রীর কাছে এরকম অনুরোধ করেছিলাম… এটা করে দিতে হবে, সেটা করে দিতে হবে। আমরা তো করেছি, এটা তো অস্বীকার করার ক্ষমতা নেই কারও।’