কলকাতা: ঘড়ির কাঁটা বলছে রাত তখন সাতটা কী আটটা হবে। খবর আসে কলকাতা জাদুঘরে সিআইএসএফ বারাকের বাইরে এলোপাথাড়ি গুলির। কর্তব্যরত সহকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনী এক জওয়ানের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলেই একজন সহকর্মীর মৃত্যু। অপরজন প্রাণে বাঁচলেন যেন বরাত জোরে। তবে আঘাত গুরুতর।
সুবীর ঘোষ। অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ডান্ট। শনিবার তাঁরই কাঁধে, ঘাড়ে, হাতে গুলি লাগে একই সঙ্গে মাথায়ও আঘাতের চিহ্ন ছিল। সুবীরবাবুর গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পৌঁছয় তাঁর বাড়িতে। হতভম্ভ হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী। আসেন এসএসকেএম হাসপাতালে। কারণ এখানেই ভর্তি করা হয় তাঁকে। স্বামীর অবস্থায় তখনও যেন মাথা কাজ করছিল না তাঁর স্ত্রী-র। হন্তদন্ত হয়ে ছুটলেন হাসপাতালে। পৌঁছে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। আর তখনই পাশে এসে দাঁড়ায় TV9 বাংলার সাংবাদিক সৌরিক কর। তাঁকে পথ দেখিয়ে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে পৌঁছে দেন তিনি।
উল্লেখ্য, শনিবার ভর সন্ধ্যায় কলকতা জাদুঘরের সিআইএসএফ বারাকের বাইরে এলোপাথাড়ি গুলি চলে। কর্তব্যরত সহকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ানের বিরুদ্ধে। তাঁকে আটকাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন দু’জন। ঘটনাস্থলেই রঞ্জিত ষড়ঙ্গীর মৃত্যু হয়। তাঁর কাঁধে, ঘাড়ে, হাতে গুলি লাগে এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন মেলে। গুরুতর জখম অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট সুবীর ঘোষকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, ‘সুবীরবাবুক স্টিচ, ড্রেসিং হচ্ছে। যদি প্রয়োজন হয় ওনাকে ভর্তি করা হবে।’
সিআইএসএফ কর্মী অক্ষয় মিশ্রর ছোঁড়া গুলিতে গুরুতর জখম হন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট সুবীর ঘোষ। তাঁর ডান হাত ফুঁড়ে বেরিয়ে যায় AK-47 এর গুলি। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে এসেএসকেএমের ইমারজেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে ট্রমা কেয়ারে স্থানান্তরিত করা হয় সুবীরবাবুকে। খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন তাঁর স্ত্রী-ও। তখনই তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে যান Tv9 বাংলার সাংবাদিক।