Laketown Police: বেগুন-মূলো-পটল তো হিমশৈলের চূড়া মাত্র, লরি খুলতেই হাঁ পুলিশ
Marijuana Seized: সোমবার রাতে লেকটাউন-যশোর রোডে নাকাচেকিং চলছিল পুলিশের। সেই সময় লরিটিকে আটকায় তারা।
কলকাতা: বছর শেষের শহরে বাড়ছে মাদক কারবারিদের রমরমা। সোমবার রাতে লেকটাউন থানা এলাকা থেকে ১০ কুইন্টাল গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। রাতে নাকাচেকিংয়ের সময় একটি লরি দেখে সন্দেহ হয় লেকটাউন থানার পুলিশের। গাড়ির পিছনের পাল্লা খুলতেই দেখে ভর্তি কাঁচা সবজি। কিন্তু তাতেও সন্দেহ হয় পুলিশের। তল্লাশি চালাতেই চোখ কপালে ওঠে।
সোমবার রাতে লেকটাউন-যশোর রোডে নাকাচেকিং চলছিল পুলিশের। সেই সময় লরিটিকে আটকায় তারা। তল্লাশি চালিয়ে দেখা যায় প্রায় ১০ কুইন্টাল গাজা গাড়িতে মজুত। লেকটাউন থানার পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িটি এয়ারপোর্টের দিক থেকে বেলগাছিয়ার দিকে যাচ্ছিল।
সেই গাড়ি থেকেই দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সামনেই বড়দিন, ৩১ ডিসেম্বর, বছর শুরুর উদযাপন। অর্থাৎ মাসজুড়ে উৎসবের মরসুম। পুলিশের অনুমান, এত পরিমাণে গাঁজার পাচারের লক্ষ্যও তাই ছিল। অর্থাৎ বছর শেষে চড়া দামে মাদক বিক্রির জন্যই এগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
কোথা থেকে এত পরিমাণে গাঁজা নিয়ে আসা হয়েছে এবং কোথায় যাচ্ছিল তা জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার দুই অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হবে। লেকটাউন থানার পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে বলেই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিছুদিন আগেই তিন কেজি হেরোইন-সহ এক যুবককে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। নদিয়ার পলাশির বাসিন্দা ওই যুবকের নাম সামিম মল্লিক। বেঙ্গল স্পেশাল টাস্কফোর্সের আধিকারিকরা তাঁকে গ্রেফতার করেন। তাঁর কাছ থেকে একটি বিলাসবহুল গাড়িও উদ্ধার করা হয়।
গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছিল, বিমানবন্দর থানা এলাকার যশোর রোডের শরৎ কলোনি ব্রিজের সামনে একটি দামী গাড়িতে চেপে দুই যুবক তিন কেজি হেরোইন নিয়ে আসছিলেন। এরপরই স্পেশাল টাস্কফোর্সের তদন্তকারী আধিকারিকরা গাড়িটি আটক করে। তাদের কাছ থেকে মোট ৩০টি পেপার প্যাকেটে ১০০ গ্রাম করে হেরোই উদ্ধার করা হয়। এরপরই গাড়ির ভিতরে থাকা সামিম মল্লিককে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা।
সেই জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বর্ষবরণের রাতে বিভিন্ন পার্টিতে ব্যবহার করার জন্যই এই বিপুল পরিমাণে হেরোইন পাচার করার উদ্দেশে নিয়ে আসা হচ্ছিল নদিয়া থেকে। তবে কোথায় এই হেরোইন পাচার করা হচ্ছিল, কার কাছে বা কাদের কাছে বিক্রি করার কথা ছিল সে সমস্ত কিছু জানার চেষ্টা চালান তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: Road Accident: মিষ্টি কেনার জন্য অটো থেকে নামতেই বিকট শব্দ! শীতের রাতে ছুটোছুটি মাঝ রাস্তায়