Dhupguri Road Accident: শরীরটা তখন জড়িয়ে গিয়েছে স্টিয়ারিংয়ের সঙ্গে, ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় বার করা হল চালককে!
Dhupguri Road Accident: বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে যান সেখানে। তাঁরা দেখতে পান, পাথর বোঝাই লরির পিছনের অংশ একেবারে দুমড়ে গিয়েছে।
জলপাইগুড়ি: ফের বেপরোয়া গতির জের। জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পাথর বোঝাই লরির পেছনে গাড়ির ধাক্কা। গুরুতর জখম এক। তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আসঙ্কাজনক বলে চিকিত্সকরা জানিয়েছেন।
ফের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ধূপগুড়ির ঝুমুরের ময়নাতালি এলাকায় এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮ এ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতলির কাছে এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮ এ পাথর বোঝাই লরি দাঁড়িয়েছিল। ধূপগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি অভিমুখে আসা একটি পার্সেল গাড়ি দ্রুতগতিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা লরির পেছনে ধাক্কা মারে।
বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে যান সেখানে। তাঁরা দেখতে পান, পাথর বোঝাই লরির পিছনের অংশ একেবারে দুমড়ে গিয়েছে। আর ছোটো গাড়িটির অবস্থা বলার মতো নয়। দুমড়ে মুছড়ে একাকার হয়ে গিয়েছে গাড়িটি। গাড়িটির দরজা ভেঙে ভিতর দিকে ঢুকে গিয়েছে। সেই পার্সেল গাড়ির ভিতরেই আটকে রয়েছেন চালক। তাঁর শরীরটা একেবারের গাড়ির যন্ত্রাংশের সঙ্গে আটকে গিয়েছে।
রক্তাক্ত অবস্থায় ভিতরেই আটকে থাকেন গাড়িচালক। স্থানীয়রাই তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গাড়ির ভিতর থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন। ইতিমধ্যেই খবর যায় ধূপগুড়ি থানায়। পুলিশ গিয়ে ওই ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটির অবস্থায় এতটাই বাজে ছিল, যে চালককে সেখান থেকে উদ্ধার করতে অনেকটাই সময় লেগে গিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রচেষ্টায় দীর্ঘ এক ঘণ্টা পর সেই পার্সেল গাড়ির চালককে গাড়ি থেকে বার করে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন চালক। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আমরা হঠাত্ই একটা বিকট শব্দ শুনতে পাই। প্রথমে আমরা বিশেষ আমল দিইনি। পরে একটা গোঙানির শব্দ শুনতে পাই। সেটা শুনেই আমরা এদিকে এসে দেখি ভয়ঙ্কর কাণ্ড। যে গাড়িটা ধাক্কা মেরেছে তার অবস্থা আর দেখার মতো ছিল না। ভিতর চালকের শরীরটা পুরো জড়িয়ে আটকে ছিল। কোনওভাবেই টেনে তাঁকে বার করা যাচ্ছিল না। আমরা অনেকটা চেষ্টা করি। কিন্তু টানা হিঁচড়াতে ওই চালকের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছিল।”
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “পাথরের গাড়িটা দাঁড়িয়েই ছিল। বোধহয় অন্ধকারে ওই গাড়িটাকে দেখতে পাননি চালক। গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারেন। আর তাতেই দুর্ঘটনা। গাড়ির চালক ভিতরে খুব বাজে ভাবে আটকে পড়েছিলেন। তাতে তাঁকে বার করতে অনেকটা অসুবিধা হচ্ছিল। পুলিশ আধ ঘণ্টা পরেই চলে এসেছিল। কিন্তু চালককে তখনও গাড়ি থেকে বার করা সম্ভব হয়নি। আরও এক ঘণ্টা পরে আসে দমকল। তারপর গাড়ি কেটে চালককে বার করা হয়।”
আরও পড়ুন: Potato Farming: আলুর বীজ পচেছে মাঠেই! এগিয়ে আসুক সরকার, দাবি আরামবাগের আলু চাষীদের
আরও পড়ুন: weather Update: রাজ্যে পারদ পতন অব্যাহত, বৃষ্টির কি কোনও পূর্বাভাস রয়েছে? কী বলছে আবহাওয়া দফতর?