কলকাতা: দু’জনের হাসিমুখ। পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেছেন। একজন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অন্যজন সিপিআইয়ের সর্বভারতীয় সম্পাদক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আর ডি রাজার এই ছবি সামনে আসতেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এ রাজ্যের সিপিআইয়ের দুই যুব নেতা সৈকত গিরি ও রাজনীল মুখোপাধ্যায়। যেখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব তাঁরা, সেখানে এই ছবি তাঁদের অস্বস্তি বাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করলেন ওই দুই যুব নেতা। সোশাল মিডিয়ায় একজন লিখলেন, সব ছবি ভাল লাগে না। অন্যজন লিখলেন, লজ্জা লাগে।
লোকসভা ভোটে বিজেপিকে টক্কর দিতে হাতে হাত মিলিয়েছে বিরোধীরা। ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে সিপিআই-ও। মুম্বইয়ে জোটের তৃতীয় বৈঠক হয়েছে। সেখানে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডি রাজাকে। ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটিতে দু’জনেই রয়েছেন। হাসিমুখে তাঁদের আলিঙ্গনের ছবি সামনে এসেছে। তারপরই শনিবার এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন সৈকত গিরি ও রাজনীল মুখোপাধ্যায়। সৈকত গিরি সিপিআইয়ের রাজ্য কার্যনির্বাহী সমিতির সদস্য। তার আগে সিপিআইয়ের ছাত্র সংগঠন এআইএসএফের এ রাজ্যের সম্পাদক। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে পটাশপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। সৈকত গিরি এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, সব ছবি ভাল লাগে না। তাঁর বক্তব্য, জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধিতা তাঁদের লক্ষ্য। কিন্তু, তাঁর জন্য এমন ছবি প্রকাশ্যে আসায় জনমানসে ভুল বার্তা যাচ্ছে। কারণ, রাজ্যে তাঁরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হন।
অন্যদিকে, পেশায় আইনজীবী রাজনীল সিপিআইয়ের হাওড়া জেলা কমিটির সদস্য। এদিন, সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, লজ্জা লাগে। এই ছবিতে যে তাঁর আপত্তি রয়েছে, সেটাই স্পষ্ট করে দেন।
দলের দুই যুব নেতার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের পোস্টকে সহজভাবে নেয়নি সিপিআই। সূত্রের খবর, দলের তরফে দুই যুব নেতাকেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের পোস্ট করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।