Chokher Alo Scheme: ‘চোখের আলো’ প্রকল্পে অন্ধকার ঘনাল চোখে! ছানিকাণ্ডে দৃষ্টি হারালেন ২ জন

Cataract Operation: মেটিয়াবুরুজ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ছানি কাটানোর পর একাধিক রোগীর আত্মীয়রা দাবি করেন, সেই অস্ত্রোপচারের পরই চোখের সমস্যা দেখা দিয়েছে। সূত্রের খবর, কোনও সংক্রমণ থেকে এই ঘটনা ঘটে। স্বাস্থ্য ভবনে এ নিয়ে বৈঠক হয়। প্রশ্ন ওঠে, অপারেশন থিয়েটারের পরিকাঠামো নিয়েও।

Chokher Alo Scheme: ‘চোখের আলো’ প্রকল্পে অন্ধকার ঘনাল চোখে! ছানিকাণ্ডে দৃষ্টি হারালেন ২ জন
ছানি কাটাতে এসে দৃষ্টি হারালেন দু'জন। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 16, 2024 | 12:53 PM

কলকাতা: স্বাস্থ্য ভবনের মুখরক্ষা হল না। চোখের আলো প্রকল্পেই দুই রোগীর চোখে ঘনিয়ে এল অন্ধকার। ছানি অপারেশনকাণ্ডে দৃষ্টিশক্তিই হারালেন দুই রোগী। তাঁদের একটি করে চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন তাঁরা। ছানিকাণ্ডে সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারালেন দু’জন। বাকি ১৮ জনেরও দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত। দু’জনের দৃষ্টিশক্তি নষ্টের কথা অস্বীকার করেননি আর‌আইও ডিরেক্টর অসীম ঘোষ।

অনেকেরই বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে ছানি কাটানোর সামর্থ্য নেই। তাঁদের জন্যই সরকার চোখের আলো প্রকল্প নিয়ে এসেছে। সেই প্রকল্পে মেটিয়াবুরুজ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ছানি কাটাতে গিয়েই চরম বিপাকে পড়েছেন। রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অবথ্যালমোলজি বা আর‌আইও ডিরেক্টর অসীম ঘোষ বলেন, “প্রায় সকলকে নিয়েই আমরা আশাবাদী। ১৪-১৫ জন তো বটেই।” অর্থাৎ সকলের ক্ষেত্রে একইরকম জোর নেই আরআইওর ডিরেক্টরের গলায়।

মেটিয়াবুরুজ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ছানি কাটানোর পর একাধিক রোগীর আত্মীয়রা দাবি করেন, সেই অস্ত্রোপচারের পরই চোখের সমস্যা দেখা দিয়েছে। সূত্রের খবর, কোনও সংক্রমণ থেকে এই ঘটনা ঘটে। স্বাস্থ্য ভবনে এ নিয়ে বৈঠক হয়। প্রশ্ন ওঠে, অপারেশন থিয়েটারের পরিকাঠামো নিয়েও। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম এ নিয়ে রিপোর্টও চান। জানতে চান, রাজ্যের সমস্ত চোখের হাসপাতালে নির্দিষ্ট এসওপি মেনে কাজ হচ্ছে কি না। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এই রিপোর্ট চাওয়ায় একটু দেরি হয়ে গেল না তো? যখন চোখের ছানি কাটাতে গিয়ে ২ জন দৃষ্টি হারালেন, ১৮ জন ক্ষতিগ্রস্ত, তখন নড়েচড়ে বসল স্বাস্থ্যভবন। আগে এই ফাকফোকর খুঁজে দেখা হল না কেন?

বিজেপি নেতা সজল ঘোষের কথায়, “সরকার ভুল বোঝাচ্ছে। এই যে বলছে ২ জনের সমস্যা আর ১৮ জনের দৃষ্টিশক্তি ফিরেছে। এটা একদমই ঠিক নয়। খোঁজ নিয়ে দেখবেন হয়ত ১৮ জনও একইভাবে ক্ষতির মুখে। সরকার মিসগাইড করছে। আমি এই সেট-আপটা বুঝি। এই ইনফেকশনে চোখ গেলে চোখ ফেরানো মুশকিল। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।”

যদিও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “চক্ষু বিশেষজ্ঞদের দেখা উচিত কেন হল। রাজনীতি দিয়ে নয়। এর জন্য স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। এটা ঠিক না।”