Nabanna Abhiyan: ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক চাকরিহারাদের

Nabanna Abhiayan: আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য এদিন কার্যত ডেডলাইনও দিয়ে দিয়েছেন চাকরিহারারা। সাফ বলছেন, “পয়লা বৈশাখ অর্থাৎ ১৫ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিটি মঞ্চের সঙ্গে বসে যদি আলোচনা না করেন, সমস্যার সুষ্ট সমাধান না করেন তাহলে আমাদের এই কর্মসূচি বহাল থাকবে।”

Nabanna Abhiyan: ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক চাকরিহারাদের
নবান্ন অভিযানের ডাক Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Apr 05, 2025 | 3:52 PM

কলকাতা: তৃণমূল নেতারা বারবার বলছেন ভরসা রাখার কথা। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তো পরিষ্কার বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী যে ব্যখ্যা দিয়েছেন তার উপর ভরসা রাখুন।” মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও বসতে চলেছেন চাকরিহারারা। ৭ তারিখ বৈঠকে বসবেন বলে আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, তার আগেই বড় কর্মসূচি নিয়ে ফেললেন চাকরিহারারা। পশ্চিমবঙ্গ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চের ডাক দিয়ে দিল নবান্ন অভিযানের। 

চাকরি প্রার্থীদের ১২-১৩ টি মঞ্চ সম্মিলিত ভাবে ২১ এপ্রিল এই নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলন করে চাকরিহারাদের তরফে এদিন এই ঘোষণা করা হয়। সংবাদিক বৈঠক থেকেই মঞ্চের নেতৃত্বের তরফে বলা হয়, কয়েকটি সংগঠন ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছে। আগামীতে তাঁরাও এই মঞ্চে সামিল হবে বলেই আশাবাদী তাঁরা। তবে এদিন সংবাদিক বৈঠকে বারেবারে প্রশাসেনর উপরে ক্ষোভও উগরে দেন তাঁরা। 

চাকরিহারাদের সাফ কথা, “এর আগেও আমরা একাধিকবার সম্মিলিতভাবে কর্মসূচি নিয়েছি। কিন্তু প্রশাসনের কোনও সদর্থক ভূমিকা দেখতে পাইনি। আমরা ভেবেছিলাম মুখ্যমন্ত্রী মানবিক। কিন্তু উনি অমানবিক মুখ্যমন্ত্রী। সরকারের সদিচ্ছার অভাবে চাকরি হারিয়েছেন শিক্ষক শিক্ষকা ও শিক্ষা কর্মীরা। আমারও এই বঞ্চনার শিকার। আমরা আর প্রতিশ্রুতি নয়, স্পট বার্তা চাই, বাস্তবায়ন চাই।” 

আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য এদিন কার্যত ডেডলাইনও দিয়ে দিয়েছেন চাকরিহারারা। সাফ বলছেন, “পয়লা বৈশাখ অর্থাৎ ১৫ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিটি মঞ্চের সঙ্গে বসে যদি আলোচনা না করেন, সমস্যার সুষ্ট সমাধান না করেন তাহলে আমাদের এই কর্মসূচি বহাল থাকবে।” খানিক আক্ষেপের সুরেই এদিন তাঁরা বলেন, “আমরা এখনও মুখ্যমন্ত্রীর উপরে আস্থা রেখেছি। আর কত দিন! আমরা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি, সে কারণে আমাদের প্রত্যেকটা দিন ভয়ের মধ্যে দিয়ে কাটাতে হয়। আমরা বেকার ভাতা চাই না।”