Bengal BJP: নতুন বছরের শুরুতেই বঙ্গ সফরে আসতে পারেন শাহ-নাড্ডা

BJP: ১০ জানুয়ারি সাংগঠনিক বৈঠক করতে পারেন জেপি নাড্ডা। ৩১ জানুয়ারি সভা করতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

Bengal BJP: নতুন বছরের শুরুতেই বঙ্গ সফরে আসতে পারেন শাহ-নাড্ডা
জানুয়ারিতেই বাংলায় আসতে পারেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 28, 2021 | 7:04 PM

কলকাতা: পুরভোটের প্রচারে রাজ্যে আসতে চলেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। জানুয়ারিতেই রাজ্যে আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আসার কথা রয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডারও। জনসভা করতে পারেন দু’জনই।

১০ জানুয়ারি সাংগঠনিক বৈঠক করতে পারেন জেপি নাড্ডা। ৩১ জানুয়ারি সভা করতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের খবর, বিজেপির রাজ্য পদাধিকারীদের বৈঠকে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা বিএল সন্তোষ।

সূত্রের খবর, যেহেতু বিজেপি সম্প্রতি রাজ্য সংগঠনে একেবারেই খোলনলচে বদলে ফেলেছে। প্রথমে রাজ্য সভাপতি বদল করা হয়েছে। এরপরই সম্প্রতি নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা হয়েছে, জেলা সভাপতি বদল হয়েছে। সংগঠনকে চাঙ্গা করতেই মূলত বিএল সন্তোষ সোমবার কলকাতায় আসেন।

সেদিকে তাকিয়েই নতুন বছরের শুরুতেই রাজ্যে আসার কথা জেপি নাড্ডার। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি থাকতে পারেন দু’একদিন। বিভিন্ন জেলায় সফরও করতে পারেন তিনি। অর্থাৎ বিভিন্ন জেলায় সাংগঠনিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন নাড্ডা।

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আসতে পারেন জানুয়ারির একেবারে শেষের দিকে। ৩০ জানুয়ারির মধ্যে তিনি আসতে পারেন বাংলায়। তবে যা খবর, তাতে অমিত শাহ মূলত উত্তরবঙ্গে সভা এবং সাংগঠনিক বৈঠক করতে পারেন।

অর্থাৎ ইংরাজি নতুন বছরের শুরুতেই বিজেপি চাইছে তাদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে নতুন প্রাণশক্তির সঞ্চার করতে। ঠিক যেভাবে লোকসভা কিংবা বিধানসভা ভোটের আগে গেরুয়া শিবির একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বঙ্গে, পুরভোটকে সামনে রেখে আবারও যেন সেই উদ্যমই ফিরে আসে সংগঠনে।

বিধানসভা ভোটে কলকাতার ১১টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি। পুরভোটে মাত্র তিনটি আসনে জিতেছে তারা। রাজ্য নেতৃত্বও কি ততটা তৎপর ছিল? কী বললেন শীর্ষ নেতৃত্ব? ৯০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মৌসুমী ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের যাঁরা হেড রয়েছেন, তাঁদের আমরা আমাদের সমস্যাগুলি জানিয়েছি। সমস্যা প্রচুর ছিল। কিছু তো ম্যান মেড প্রবলেম। যেগুলি অহেতুক বানানো হয়েছিল।”

বিধানসভা ভোটে ২০০ আসনের স্বপ্ন দেখে ৭৭টি আসন জেতে বিজেপি। তার সাতমাসের মধ্যে কলকাতার ভোটপ্রাপ্তি হিসাবে বামেদের থেকে পিছিয়ে পড়ে দল। অসন্তোষ, অন্তর্ঘাতের দাওয়াই না পেলে বিপদ বাড়বে গেরুয়া শিবিরের। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এগুলো বিশ্লেষণের বিষয়। এগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আগামী দিনে আমরা চিন্তাভাবনা করব। যাঁরা এই ধরনের কাজ করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দল কী ব্যবস্থা নেবে, দেখা যাক।”

লোকসভা ভোটের তিন বছরও যে বাকি নেই। তার আগে বড় নির্বাচন বলতে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির রাজ্য জোড়া পুরভোট। সেখানেও বিজেপির একই হাল হলে, বামেরাই কার্যত প্রধান বিরোধী হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। চিন্তায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে বঙ্গ সফর কিছুটা টাটকা বাতাস সংগঠনে ছড়িয়ে দিতে পারবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন: West Bengal Municipal Election 2021: কেন ১৬টি ওয়ার্ড বাদ দিয়ে হাওড়ার ভোট হবে? প্রশ্ন তুলে একযোগে সর্বদল বয়কট বাম-কংগ্রেস-বিজেপির