কলকাতা: বহুতল থেকে ঝাঁপ মেরে ‘আত্মঘাতী’ তরুণী। লেকটাউন বাঙুরের ঘটনা। তবে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যে আবাসন থেকে ওই তরুণী ঝাঁপ মেরেছেন সেটি তাঁর বাড়ি থেকে অনেকটাই দূরে। পুলিস সূত্রে খবর, ওই আবাসনে তাঁর পরিচিত কেউ থাকতেনও না। তা হলে কীভাবে অচেনা কেউ একটি আবাসনে ঢুকে গেলেন, কীভাবেই বা ছাদে গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তদন্তে লেকটাউন থানার পুলিস।
লেকটাউন এসকে দেব রোডের একটি আবাসনে থাকতেন নিধি পোদ্দার (১৮)। পুলিস সূত্রে খবর, রবিবার রাতে ম্যাগি কিনতে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরইমধ্যে তাঁর এক বন্ধু বাড়িতে ফোন করে জানায় নিধিকে ফোনে পাচ্ছেন না। শুরু হয় খোঁজ। লেকটাউন থানায় যোগাযোগ করে পোদ্দার পরিবার। অন্যদিকে ততক্ষণে থানায় খবর আসে বাঙুরের একটি আবাসন থেকে একজন ঝাঁপ মেরেছেন। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৬ ঘণ্টা পর মুমূর্ষু কিশোরের ঠাঁই হল হাসপাতালের বেডে! স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও চরম ভোগান্তি
দেখা যায় ওই তরুণীই নিধি। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিস। তদন্তকারীদের অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকেই এই ঘটনা। তবে কী কারণে নিজের বাড়ি ৩৮৬ এসকে দেব রোড হলেও দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে কেন বাঙুরের এ ব্লকে সুনীতি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ঝাঁপ দিলেন তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে লেকটাউন থানার পুলিস।
সুইসাইড নোটে লেখা ছিল, ‘ভালো লাগছিল না। আমি অনেক আঘাত পেয়েছি। বাবা এবং মা তোমরা ক্ষমা করো। দিদি ক্ষমা করো।’ পুলিস সূত্রে খবর, এক বন্ধুর উদ্দেশ্যেও লেখা রয়েছে সেই নোটে, ‘ভেবেছিলাম তোমার সঙ্গে থাকব, থাকতে পারলাম না। ক্ষমা করো।’