
কলকাতা: সিটের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসের। তিনি বলেন, ‘আমি পার্টি কিন্তু আমাকেই সিট ডাকেনি, তদন্ত ঠিক করে হবে কী করে?’ নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘সৎ রঞ্জন’-এর কথা প্রথম তিনিই তুলে এনেছিলেন। সেই সৎ রঞ্জনকে খুঁজতে নেমে খোঁজ মেলে এমন বহু ‘সৎ’-এর। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে উপেন বিশ্বাসের মনেই। ঠিক করে তদন্ত হচ্ছে না বলেই মত তাঁর। উপেনের কথায়, “আদালত নির্দেশ দিয়েছিল আমার সহযোগিতার। আমার কাছে তো কেউই আসেনি। আমি উল্টে তাদের ইমেল করে তথ্য দিয়েছি। আমার ভূমিকাও কার্যত শূন্য। অথচ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল সর্বতোভাবে সহযোগিতা করতে।”
সিবিআইয়ের সিট গঠন নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে উপেন বিশ্বাসের মনে। প্রাক্তন সিবিআই কর্তা মনে করেন সিট ঠিকমতো গঠনই করা হয়নি। উপেন বিশ্বাসের কথায়, “একজন অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর এখানে থাকলে ভাল হতো। তাঁর ক্ষমতা গোটা দেশের সিবিআইয়ের ক্ষেত্রে রয়েছে। এখানে প্রথম করা হল একজন ইন্সপেক্টরকে, তারপর আরেকজন ইন্সপেক্টর বোধহয়। তারপর ডিআইজি। তিনি তো বেশি কিছু পারবেন না। তিনি চাইলে বিহার কিংবা তামিলনাড়ু থেকে লোক আনতে পারবেন না। সেই ক্ষমতা তো নেই। ফলে সিটটাই ঠিকমতো বানানো হয়নি।”
এক সময় তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী ছিলেন উপেন বিশ্বাস। দল ছেড়েছেন। আর তারপরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক বোমা ফাটিয়েছেন তিনি। সিবিআইয়ের সিট গঠন নিয়ে তাঁর এ হেন মন্তব্যে তৃণমূল কোনও প্রতিক্রিয়াই দিতে চায়নি। তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এটা আদালতের বিষয় আদালতই দেখবে। কোর্ট ইডি বা সিবিআইকে নির্দেশ দেবে।”
অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, “সিবিআইয়ের প্রাক্তন কর্তা উপেন বিশ্বাস। তিনি তো রাজ্যের তৃণমূল সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন। তৃণমূলের সরকারের মন্ত্রী, তৃণমূলের আপত্তি থাকার কথা নয়। নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে যারা তদন্তকারী সংস্থা, তাদেরও উনি অফিসার ছিলেন, তাদেরও আপত্তি থাকার কথা নয়। তাহলে সত্যিই যদি কেউ তদন্ত করতে চাইত, আদালত বলার পরও উপেন বিশ্বাসের সঙ্গে তারা কথা বলল না কেন?”