Upen Biswas: ‘গডফাদার’কে ধরতে তদন্তকারীদের পরামর্শ দিলেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস
Upen Biswas: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হতে দেখা গিয়েছে উপেন বিশ্বাসকে। তিনিই প্রথম চন্দন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির নাম সামনে আনেন।
কলকাতা : সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে কেউ বলছেন, কান টানা হয়েছে, এবার মাথা আসবে। আবার কেউ বলছেন, আস্তে আস্তে জালে পড়বে ‘বড় মাছ’। অর্থাৎ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘কাকু’র গ্রেফতারি গোয়েন্দাদের মূল ষড়যন্ত্রকারীর কাছে পৌঁছে দেবে বলেই মনে করছেন অনেকে। তবে প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসের দাবি, এবার দ্রুত ‘গডফাদার’কে জালে আনা প্রয়োজন।
TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে উপেন বিশ্বাস বলেন, “যিনি গ্রেফতার হয়েছেন, সেই সুজয়কৃষ্ণকে আমি কোনওভাবেই গডফাদার বলে মনে করি না। তবে তিনি গডফাদার কাছাকাছি।” তাঁর মতে, এতটা সংগঠিত অপরাধ তো কালীঘাটের কাকু করতে পারেন না। প্রাক্তন সিবিআই কর্তার দাবি, তদন্তকারীরা শুধুমাত্র চার্জশিট দিয়েই যেন থেমে না যান তাঁরা। তিনি বলেন, “একটা চার্জশিট করে দিলেন, আর গডফাদারের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করবেন না, তাহলে আবার সারদার মতো হবে।”
কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি ও সিবিআই-এর ডিরেক্টরদের উদ্দেশে উপেন বিশ্বাস বলেন, “দেখুন আপনাদের চ্যালারা কী করছে। দ্রুত গডফাদারকে ধরতে বলুন।”
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হতে দেখা গিয়েছে উপেন বিশ্বাসকে। তিনিই প্রথম চন্দন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির নাম সামনে আনেন। পরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সুজয়কৃষ্ণের লেনদেন নিয়েই মূলত প্রশ্ন উঠেছে। অভিযুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে তাঁর যে লেনদেন হয়েছিল, তার সত্যতা সুজয় ভদ্র স্বীকার করে নিয়েছেন বলেই সূত্রের খবর। তবে, প্রশ্ন উঠছে কেন এই লেনদেন? তার কোনও সদুত্তর নাকি পাননি তদন্তকারীরা।