কলকাতা : চাকরি প্রার্থী অরুণিমা পাল নাকি পুলিশ কনস্টেবল ইভা থাপা, কে আগে কার হাতে কামড় বসিয়েছিলেন, তা নিয়ে বিতর্ক শেষ হয়নি এখনও। এরই মধ্যে অনেকটা একই ধাঁচে কলকাতার রাস্তায় আন্দোলনে নামলেন আরও একদল চাকরি প্রার্থী। তবে সোমবার পুলিশের ভূমিকা ছিল অনেকটাই আলাদা। টেট প্রার্থীদের আন্দোলনের দিন পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি চরম আকার নেয় ক্যামাক স্ট্রিট চত্বরে। সোমবার উচ্চ প্রাথমিকের প্রার্থীদের আন্দোলনে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য প্রথম থেকেই সচেতন ছিল পুলিশ।
সোমবার ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে আচমকাই হাজির হন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীরা। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই খবর চলে যায় পুলিশের কাছে। বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ওয়াই চ্যানেলে হাজির হন ডিসি সেন্ট্রাল। উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে ঘটনাস্থল থেকে সরানো হয় বিক্ষোভকারীদের। প্রিজন ভ্যানে টেনে তোলা হয় আন্দোলনকারীদের। যে সব মহিলা প্রার্থী ভ্যানে উঠতে চাইছিলেন না, তাঁদের তুলতে এগিয়ে যান ৪-৫ জন মহিলা পুলিশ, যাতে আগের দিনের মতো কোনও ঘটনা না ঘটে। ৫-৭ মিনিটের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলে পুলিশ। সরিয়ে দেওয়া হয় আন্দোলনকারীদের।
এই নিয়োগের প্রথম বিজ্ঞপ্তি জারি হয় ২০১৪-র জানুয়ারি , পরে ফের বিজ্ঞপ্তি জারি হয় ২০১৫-র ১০ জানুয়ারি। ২০১৫-তে পরীক্ষা হয় ও ফল প্রকাশ হয় ২০১৬-র ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬। পরীক্ষা, ইন্টারভিউ, ফল প্রকাশের পর প্যানেল প্রকাশ হওয়ার কথা। কিন্তু এখনও প্যানেল প্রকাশ না হওয়ায় আন্দোলনে নেমেছেন চাকরি প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, আট বছর ধরে নিয়োগ হয়নি।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে টেট প্রার্থীরা অতর্কিতে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ধর্মতলা চত্বরে। ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে পৌঁছে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের তুলে দেয় পুলিশ। এক চাকরি প্রার্থী অরুণিমা পাল অভিযোগ করেন, তাঁর হাতে কামড় বসিয়েছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, আগে কামড়ে দিয়েছেন অরুণিমাই। সেই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হন বিরোধীরা।