কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাকসিন (Fake Vaccination) নিয়ে শোরগোল চরমে। এরই মধ্যে উঠে এল আধার কার্ড জালিয়াতি। একজনের আধার কার্ড দেখিয়ে ভ্যাকসিন নিয়েছেন অন্যজন। শুধু তাই নয়, শহরের নামজাদা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে টিকা নিয়ে জাল শংসাপত্র পাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ, নিজের আধার নম্বর নিয়ে কোউইন অ্যাপে নাম রেজিস্ট্রেশন করতে যান এক মহিলা। সেই সময় জানতে পারেন, তাঁর আধার নম্বরে ইতিমধ্যেই একজন ভ্যাকসিন নিয়ে নিয়েছেন। অন্যদিকে অপর তরুণী শহরের এক নামজাদা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে টিকা নেওয়ার পর শংসাপত্র পেয়ে দেখেন তাতে আধার নম্বর বদলে গিয়েছে।
কলেজ স্ট্রিটের বাসিন্দা কাজল পাল। টিকা নেবেন বলে কোউইনে নিজের নাম নথিভুক্ত করাতে গিয়ে দেখেন তাঁর আধার কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে টিকা নিয়েছেন বিনোদ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি। সরকারি অ্যাপে অন্তত তেমনটাই দেখা যাচ্ছে। এই ঘটনায় চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কাজলের পরিবার।
কাজল পালের অভিযোগ, “কো-উইন অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করতে গিয়ে দেখি আমার আধার নম্বরে ইতিমধ্যেই টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে। বিনোদ চৌধুরী নামে একজনের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। তাই কাজল পালের নামে আলাদা রেজিস্ট্রেশন হবে না।”
শুধু তাই নয়, কলকাতার নামি হাসপাতালে টিকা নিয়েছিলেন ফুলবাগানের বাসিন্দা সোমা মণ্ডল। ভুয়ো টিকাপ্রদানকারী দেবাঞ্জন দেবের খবর প্রকাশ্যে আসতেই তিনি কোউইন অ্যাপে নিজের নাম দিয়ে দেখতে গেলে অ্যাপে ঢুকতে পারেননি। সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে জানালে তারা একটি সার্টিফিকেট দেন। দেখা যায় সেটি জাল। বিষয়টি বেলেঘাটা থানায় জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্বাসকষ্ট নিয়ে যাত্রী প্রতীক্ষালয়েই কাটল ১২ ঘণ্টা! এসএসকেএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ
সোমার দাবি, তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন কোনও টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে অ্যাপটি খুলছে না। পরে দেখতে পান গোটা বিষয়টিই ভুয়ো। একদিকে গত দু’দিন ধরে ভুয়ো টিকাপ্রদানকারী দেবাঞ্জন দেবকে নিয়ে যখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে, সেই সময় নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এই ধরনের ঘটনা। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি আধার নম্বর নিয়ে ভ্যাকসিন-জালিয়াতি শুরু হল?