সায়ন্ত ভট্টাচার্য: সন্ধে ছ’টা থেকে রাত ন’টা। প্রায় তিন ঘণ্টা সময় ধরে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে (Fake Vaccine) কাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দে (Debanjan Deb)-র মাদুরদহের বাড়িতে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। কেন সে এই কাজ করতে গেল তা জানতে দেবাঞ্জনের বাবা-মা-কেও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা। বাড়িতে তন্ন তন্ন করে খোঁজ চালিয়ে যে-সব নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে তা গাড়িতে তোলেন তাঁরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এদিন দেবাঞ্জনকে নিয়ে তাঁর বাড়িতে ঢুকতেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন তাঁর মা।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ছেলে যে নিকৃষ্টতম কাজ করেছে তার জন্য তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান মা। এদিন বাড়ির প্রত্যেক সদস্য তদন্তে পূর্ণ সহায়তা করেছেন বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।
দেবাঞ্জনের মাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তিনি জানান, ছেলে যে ধরনের কাজ করেছে, তার জন্য কঠোর শাস্তি প্রাপ্য তার। তাই তাঁকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হয়। গোয়েন্দা সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গ্রেফতারির পর দেবাঞ্জনের কসবার অফিসে তল্লাশি চালালেও বাড়িতে এই প্রথমবার হাজির হন গোয়েন্দারা। পুলিশ সূত্রের খবর, সেখানে দেবাঞ্জনের কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ছিল। এছাড়া কিছু নথিপত্রও পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি সব বাজেয়াপ্ত করেন গোয়েন্দারা। দেবাঞ্জনের স্কুল-কলেজের মার্কশিটও খতিয়ে দেখেন তাঁরা। সেগুলিও আসল কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে গোয়েন্দাদের। তবে বেশ কিছু ঘর তালাবন্ধ পাওয়া গিয়েছে। তাতে সন্দেহ আরও বেড়েছে গোয়েন্দাদের।
আরও পড়ুন: Fake Vaccine: ভরসন্ধ্যায় দেবাঞ্জনকে নিয়ে মাদুরদহের বাড়িতে লালবাজারের গোয়েন্দারা
গত ২২ জুন মঙ্গলবার কসবা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল দেবাঞ্জন দেবকে। সেদিন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, কোনও অনুমতি ছাড়া পুরসভার নাম ভাঙিয়ে করোনার টিকা-শিবির করছেন তিনি। কিন্তু বুধবার থেকে পুরোদমে এই তদন্ত শুরু হওয়ার পর ছ’দিনেই রাজ্যবাসীর চক্ষু ছানাবড়া করে দিয়েছে বছর ছত্রিশের এই যুবক।অভিযোগের পর অভিযোগে বিদ্ধ এই যুবক। এদিন দীর্ঘ তিন ঘণ্টা দেবাঞ্জনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাঁকে নিয়ে আবার গাড়িতে ওঠেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা।