কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam) যে নামটা বারবার উঠে আসছিল, সেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে এদিন গ্রেফতার করলল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার সুজয় ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra) ওরফে কালীঘাটের কাকু। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এদিন সকাল থেকেই সিজিও কমপ্লেক্সে চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। অবশেষে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলাকালীন প্রথম ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা বলেন গোপাল দলপতি। যদিও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র কোনওভাবেই কোনও দর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না বলে মত তাঁর স্ত্রী বাণী ভদ্রের। তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।
গ্রেফতারির ঘটনার পর টিভি-৯ বাংলাকে তিনি বলেন, “উনি কোনও দুর্নীতিতে যুক্ত নন। আমরা ছোট থেকে এক পাড়ায় বড় হয়েছি। ও দুর্নীতিতে যুক্ত থাকতেই পারে না। এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হতে পারে। আমার সেরকমটাই মনে হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, এর আগে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। নিজ়াম প্যালেসেও চলে জিজ্ঞাসাবাদ। সূত্রের খবর, সুজয়কৃষ্ণের কাছে ব্যাঙ্কের নথিও চেয়েছিল সিবিআই। এদিকে তল্লাশিতে তাঁর বাড়ি থেকে পুর নিয়োগের অ্যাডমিট কার্ড মেলে বলেও খবর পাওয়া গিয়েছিল। তল্লাশি চালায় ইডিও।
বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল সুজয়কৃষ্ণের মোবাইল, জমির দলিল। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর সঙ্গেও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও জামাইয়ের জন্য জমি কিনতে টাকা দিয়েছিলেন শান্তনুর স্ত্রীকে। এমনটাই দাবি করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। শেষ পর্যন্ত সেই সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে উঠেছে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ।