Binay Tamang: পাহাড়ে চাই ত্রিস্তরীয় নির্বাচন, নির্বাচন কমিশনকে চিঠি বিনয় তামাং-এর
Vinay Tamang: ২০০০ সালের পর থেকে আর পঞ্চায়েত ভোট হয়নি পাহাড়ে। পরবর্তী সময়ে রাজ্যে পাহাড়ে জিটিএ বোর্ড গঠন করা হয়। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির তরফে বার বার পাহাড়ে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবিও জানানো হয়েছে।
কলকাতা: দুই দশক পর পাহাড়ে ফের শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের তোড়জোড়। দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য আসন পুনর্বিন্যাস ও সংরক্ষণের নির্দেশিকা আগেই জারি করা হয়েছে। এবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন চেয়ে চিঠি দিলেন জিটিএ-র সদস্য বিনয় তামাং। ২০০০ সালে শেষবার গ্রাম সভা পর্যায়ে নির্বাচন হয়েছিল পাহাড়ে। তারপর থেকে পাহাড়ে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা কার্যকরী নয়। তবে জিটিএ আইনে সেই নির্বাচনের সংস্থান আছে বলে উল্লেখ করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিনয় তামাং। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এই চিঠি দিয়েছেন তিনি।
বিনয় তামাং-এর দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচন না হওয়ায় পুরো ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দার্জিলিং ও কালিম্পং-এর মানুষ। তিনি উল্লেখ করেছেন ২০১২ সালে জিটিএ কার্যকর হয় পাহাড়ে। আর সেই জিটিএ আইনে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের উল্লেখ আছে। তাই ওই দুই জেলায় যাতে নির্বাচন হয়, সেই আর্জিই জানিয়েছেন তামাং।
২০০০ সালের পর থেকে আর পঞ্চায়েত ভোট হয়নি পাহাড়ে। পরবর্তী সময়ে রাজ্যে পাহাড়ে জিটিএ বোর্ড গঠন করা হয়। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির তরফে বার বার পাহাড়ে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়েছে। উন্নয়নের মূল স্রোত থেকে বিভিন্নভাবে পাহাড় বঞ্চিত হয়ে থাকে বলেও অভিযোগ উঠেছিল।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই দার্জিলিং ও কালিম্পঙে পঞ্চায়েত ভোটে অংশ নিতে চেয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন অনীত থাপা। তাঁর দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ভোটে লড়তে চায়। এই বিষয়ে আগ্রহের কথা জানিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেন অনীত থাপা। রেজিস্ট্রার্ড রাজনৈতিক দল হলেও এদের কোনও প্রতীক ছিল না। সেই কারণে প্রতীক চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে যায় অনীত থাপার দল। কমিশনের থেকে তারা জোড়া মোমবাতির প্রতীক চেয়েছে তারা।