Viral Video: হাসপাতালে চত্বরেই রাতভর তারস্বরে বাজল মাইক, ফাটল বাজি! প্রশ্নের মুখে এনআরএস

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Dec 02, 2021 | 3:22 PM

NRS Hospital: বুধবার এনআরএস হাসপাতালে একটি আন্তঃকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলছিল। সেই প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করতেই চলে উদযাপন। রাতভর হাসপাতালে বাজল মাইক। ফাটানো হল নিষিদ্ধ শব্দবাজি

Follow Us

কলকাতা: সামনেই কোভিড ওয়ার্ড। হাসপাতালে রয়েছেন আক্রান্তরাও। কিন্তু, তাতে কী! উল্লাসে মেতেছেন চিকিত্‍সক-পড়ুয়ারা। রাতভর হাসপাতাল চত্বরেই বাজি ফাটিয়ে মাইক বাজিয়ে চলল ‘উল্লাস’। ভাইরাল সেই ভিডিয়ো। কিন্তু, নীরব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কেন এমন উদযাপন? উঠছে প্রশ্ন। আর এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি খাস কলকাতায় এনআরএস হাসপাতালে (NRS)।

কী দেখা গিয়েছে সেই ভিডিয়োতে? মিনিট দুয়েকের সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, নীল-সাদা-সবুজ আলোয় সেজেছে মেডিক্যাল চত্বর। সেখানেই শেষ নয়। বাজছে চটুল হিন্দি গান। মাইক বাজিয়ে চলছে গানবাজনা। সঙ্গে ফাটানো হচ্ছে নিষিদ্ধ শব্দবাজি। এদিকে পাশেই কোভিড ওয়ার্ড। সেখানে কার্যত মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন রোগীরা। রয়েছেন অন্যান্য রোগীরাও। সেই হাসপাতাল চত্বরের পাশের মাঠেই রাতভর চলল এমন তাণ্ডব!

সূত্রের খবর, বুধবার এনআরএস হাসপাতালে একটি আন্তঃকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলছিল। সেই প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করতেই চলে উদযাপন। রাতভর হাসপাতালে বাজল মাইক। ফাটানো হল নিষিদ্ধ শব্দবাজি। আর কারা এই উদযাপনের নেপথ্যে ছিলেন? সেই চিকিত্‍সক-পড়ুয়ারা। যাঁরা মেডিক্যাল পড়ছেন। খোদ সরকারি হাসপাতালে কেন  এমন বিজয়োল্লাস? কেনই বা কোনও পদক্ষেপ করল না পুলিশ?

সূত্রের খবর, সেই ‘বিজয়োল্লাসের’ খবর পেয়ে তড়িঘড়ি হাসপাতাল চত্বরে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ।  কিন্তু তারপরেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। প্রশ্ন উঠছে চিকিত্‍সক-পড়ুয়া বলেই কি তাঁরা সব নিয়মের ঊর্ধ্বে? যেখানে শব্দবাজি ফাটানো নিষিদ্ধ, সেখানে কী করে হাসপাতাল চত্বরে বাজি ফাটাতে পারলেন তাঁরা? কী করেই বা নীরব থাকলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উঠছে প্রশ্ন।

ঘটনায় বিজেপি নেত্রী চিকিত্‍সক অর্চনা মজুমদার বলেন, “আমি এনআরএস-এর প্রাক্তনী। আমার কোনও প্রতিক্রিয়া দিতেও খারাপ লাগছে। যাঁরা ডাক্তারি পড়তে আসছেন তাঁরা যথেষ্ট মেধাবী। হাসপাতাল যাঁরা পরিচালনা করছেন তাঁরা অর্থাত্‍ প্রিন্সিপাল, এমএসভিপি বা অন্যান্য় আধিকারিকরা, তাঁরা কেমন পরিচালক তা খতিয়ে দেখার দরকার রয়েছে। কোনও হাসপাতাল চত্বরে বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালে এমন ঘটনা নিন্দনীয়।”

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই চিকিত্‍সক-পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল হাসপাতাল চত্বর। তাঁদের আন্দোলনের পন্থা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছিল একাধিক। বুধবারের ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে আরও। কেন নীরব থাকল পুলিশ? আইন যখন সকলের ক্ষেত্রেই সমভাবে প্রযোজ্য় তখন কী করে পুলিশ কেবল নীরব দর্শক হয়ে থাকল? কেন কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখলেন না গোটা ঘটনা? কেনই বা অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ এখনও করা হল না, প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট মহলের।

 

দেখুন ভিডিয়ো 

আরও পড়ুন: Viral Video: ‘জাতীয় সঙ্গীতকে জ্ঞাতসারেই কি অবমাননা করলেন মুখ্যমন্ত্রী?’ প্রশ্ন বিজেপির

কলকাতা: সামনেই কোভিড ওয়ার্ড। হাসপাতালে রয়েছেন আক্রান্তরাও। কিন্তু, তাতে কী! উল্লাসে মেতেছেন চিকিত্‍সক-পড়ুয়ারা। রাতভর হাসপাতাল চত্বরেই বাজি ফাটিয়ে মাইক বাজিয়ে চলল ‘উল্লাস’। ভাইরাল সেই ভিডিয়ো। কিন্তু, নীরব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কেন এমন উদযাপন? উঠছে প্রশ্ন। আর এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি খাস কলকাতায় এনআরএস হাসপাতালে (NRS)।

কী দেখা গিয়েছে সেই ভিডিয়োতে? মিনিট দুয়েকের সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, নীল-সাদা-সবুজ আলোয় সেজেছে মেডিক্যাল চত্বর। সেখানেই শেষ নয়। বাজছে চটুল হিন্দি গান। মাইক বাজিয়ে চলছে গানবাজনা। সঙ্গে ফাটানো হচ্ছে নিষিদ্ধ শব্দবাজি। এদিকে পাশেই কোভিড ওয়ার্ড। সেখানে কার্যত মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন রোগীরা। রয়েছেন অন্যান্য রোগীরাও। সেই হাসপাতাল চত্বরের পাশের মাঠেই রাতভর চলল এমন তাণ্ডব!

সূত্রের খবর, বুধবার এনআরএস হাসপাতালে একটি আন্তঃকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলছিল। সেই প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করতেই চলে উদযাপন। রাতভর হাসপাতালে বাজল মাইক। ফাটানো হল নিষিদ্ধ শব্দবাজি। আর কারা এই উদযাপনের নেপথ্যে ছিলেন? সেই চিকিত্‍সক-পড়ুয়ারা। যাঁরা মেডিক্যাল পড়ছেন। খোদ সরকারি হাসপাতালে কেন  এমন বিজয়োল্লাস? কেনই বা কোনও পদক্ষেপ করল না পুলিশ?

সূত্রের খবর, সেই ‘বিজয়োল্লাসের’ খবর পেয়ে তড়িঘড়ি হাসপাতাল চত্বরে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ।  কিন্তু তারপরেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। প্রশ্ন উঠছে চিকিত্‍সক-পড়ুয়া বলেই কি তাঁরা সব নিয়মের ঊর্ধ্বে? যেখানে শব্দবাজি ফাটানো নিষিদ্ধ, সেখানে কী করে হাসপাতাল চত্বরে বাজি ফাটাতে পারলেন তাঁরা? কী করেই বা নীরব থাকলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উঠছে প্রশ্ন।

ঘটনায় বিজেপি নেত্রী চিকিত্‍সক অর্চনা মজুমদার বলেন, “আমি এনআরএস-এর প্রাক্তনী। আমার কোনও প্রতিক্রিয়া দিতেও খারাপ লাগছে। যাঁরা ডাক্তারি পড়তে আসছেন তাঁরা যথেষ্ট মেধাবী। হাসপাতাল যাঁরা পরিচালনা করছেন তাঁরা অর্থাত্‍ প্রিন্সিপাল, এমএসভিপি বা অন্যান্য় আধিকারিকরা, তাঁরা কেমন পরিচালক তা খতিয়ে দেখার দরকার রয়েছে। কোনও হাসপাতাল চত্বরে বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালে এমন ঘটনা নিন্দনীয়।”

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই চিকিত্‍সক-পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল হাসপাতাল চত্বর। তাঁদের আন্দোলনের পন্থা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছিল একাধিক। বুধবারের ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে আরও। কেন নীরব থাকল পুলিশ? আইন যখন সকলের ক্ষেত্রেই সমভাবে প্রযোজ্য় তখন কী করে পুলিশ কেবল নীরব দর্শক হয়ে থাকল? কেন কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখলেন না গোটা ঘটনা? কেনই বা অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ এখনও করা হল না, প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট মহলের।

 

দেখুন ভিডিয়ো 

আরও পড়ুন: Viral Video: ‘জাতীয় সঙ্গীতকে জ্ঞাতসারেই কি অবমাননা করলেন মুখ্যমন্ত্রী?’ প্রশ্ন বিজেপির

Next Article