
রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে মঙ্গলবার বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সম্প্রতি এসএসসি, এসএলএসটি এবং টেট সহ বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় নিয়োগে অনিয়মের যে অভিযোগ উঠেছে, তারই প্রতিবাদে বিজেপির যুব মোর্চার তরফে বিকাশ ভবন অভিযান করা হয়। যুব মোর্চার এই অভিযান ঘিরেই কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

মঙ্গলবার রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কোনওরকম কর্মসূচি করা যাবে না। কিন্তু পুলিশি অনুমতি না থাকার পরেও নিজেদের কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যান বিজেপি নেতারা। নামে যুব মোর্চার আন্দোলন হলেও এই অভিযানে পা মিলিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার সহ বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতা।

মিছিল ঘিরে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তার জন্য আগে থেকেই তৈরি ছিল পুলিশ। রাস্তায় ব্যারিকেড করে জলকামান তৈরি রাখা হয়েছিল। মিছিল এগোতে শুরু করতেই পুলিশও প্রতিরোধ করে। বিজেপির বিকাশ ভবন অভিযান ঘিরে পরিস্থিত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

করুণাময়ীর কাছে পুলিশের প্রথম ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিজেপির কর্মী ও সমর্থকরা। এদিকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত যাওয়ার আগেই ময়ূখ ভবনের কাছে আটকে দেওয়া হয় বিজেপির কর্মী ও সমর্থকদের। সেখানে ব্যারিকেডের পাশাপাশি জলকামানও তৈরি রাখা হয়েছিল। পুলিশ সেখানে জলকামান ব্যবহার শুরু করতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

রাস্তার উপরেই বসে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী ও সমর্থকরা। জলকামানের মুখে পড়েও নিজেদের প্রতিবাদ চালিয়ে যান তাঁরা। পুলিশ বিকাশ ভবন অভিযানে বাধা দিলে, রাস্তায় বসে পড়েন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে পুলিশের টানা জলকামানের ব্যবহারে শেষ পর্যন্ত ছত্রভঙ্গ করা যায় বিজেপির কর্মী ও সমর্থকদের।

বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, তাঁদের বেশ কয়েকজন কর্মী ও সমর্থক ঘটনায় আহত হয়েছেন। তবে পুলিশের বক্তব্য, কোনওরকম লাঠিচার্জ করা হয়নি। উল্টে, পুলিশের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে পুলিশের তরফে।