Watgunge Case: ওয়াটগঞ্জে মহিলার দেহাংশ উদ্ধারে মিলল তন্ত্রসাধনার যোগ, গ্রেফতার ভাসুর

Deeksha Bhuiyan | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 04, 2024 | 12:35 PM

Watgunge Case: জেরায় পুলিশ জানতে পারে, আগে খুন করার পর দেহ কাটা হয়েছে। দেহ কেটে প্লাস্টিকে ভরার পর বাথরুম ও গোটা ঘর ধুয়ে মুছে সাফ করেছেন ভাসুরই। যাতে কোথাও কোনও রক্তের দাগ না থাকে তা নিশ্চিত করেছে।

Watgunge Case: ওয়াটগঞ্জে মহিলার দেহাংশ উদ্ধারে মিলল তন্ত্রসাধনার যোগ, গ্রেফতার ভাসুর
দুর্গা সরখেল (নিহত মহিলা)
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: ওয়াটগঞ্জে মহিলার দেহাংশ-রহস্য ভেদ করল পুলিশ। ঘটনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে দুর্গা সরখেল নামে ওই মহিলার ভাসুরকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম নীলাঞ্জন সরখেল। জেলায় তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ভাসুর বাড়ির বাথরুমে খুন করে দুর্গাকে। তারপর সেখানেই দেহ টুকরো টুকরো করা হয়। তারপর দেহ প্লাস্টিকে ভরে নিজেই সাইকেলে করে ফেলতে যান। সিসিটিভিতেও সেই বিষয়টি দেখা গিয়েছে। সাইকেলে এক ব্যক্তি প্লাস্টিক এনে জঙ্গলে ফেলছেন। তদন্তকাপারীরা মনে করছেন, ধৃত ব্যক্তি তন্ত্র সাধনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন।  খুন ও দেহ টুকরো করার কাজে ভাসুরের সঙ্গে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

জেরায় পুলিশ জানতে পারে, আগে খুন করার পর দেহ কাটা হয়েছে। দেহ কেটে প্লাস্টিকে ভরার পর বাথরুম ও গোটা ঘর ধুয়ে মুছে সাফ করেছেন ভাসুরই। যাতে কোথাও কোনও রক্তের দাগ না থাকে তা নিশ্চিত করেছে। তারপর দেহ ফেলতে গিয়েছেন।

পুলিশ জানতে পেরেছে, দু’দিন আগে ওয়াটগঞ্জের একটি পরিত্যক্ত এলাকা থেকে মহিলার দেহাংশ উদ্ধার হয়। তিনটি প্লাস্টিকে মহিলার মুণ্ড ও বুক-পেটের অংশ রাখা ছিল। ঘটনার নৃশংসতায় কেঁপে ওঠে গোটা শহর। পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমে কোনও ‘ক্লু’ পাচ্ছিল না। কারণ আশপাশের এলাকার কারোর নিখোঁজ থাকার ডায়েরিও জমা পড়েনি থানায়। পরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই মহিলার নাম দুর্গা সরখেল। তিনি খিদিরপুরেরই ৮০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ২০০৭ সালে ওয়াটগঞ্জ থানা এলাকার হেমচন্দ্র সরণীর ধোনি সরখেলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর।  তাঁর পনেরো বছরের এক সন্তানও রয়েছে। গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন দুর্গা। কাটা মুণ্ডর সূত্র ধরেই পুলিশ দুর্গাকে শনাক্ত করে। এরপর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। ভাসুরের কথায় একাধিক অসঙ্গতি মেলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই ভাবে ভাসুর বাড়ির বাথরুমে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করলেন, বাকিরা কিছু টের পেলেন না? নাকি তাঁরা অন্য কোথাও ছিলেন? বিষয়টি নিয়ে এখনও সন্ধিহান পুলিশ।

পাশাপাশি খুনের কারণ নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, দুর্গার স্বামী নেশাগ্রস্ত অবস্থাতেই থাকতেন। আর ভাসুর করতেন তন্ত্রসাধনা। তদন্তকারীরা এই বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই ভাবিত ছিল। কারণ কাটা মুণ্ডর কপালে সিঁদুরের টিপ ছিল, এত নৃশংসতা দেখে পুলিশ মনে করছে, এর পিছনে কি তন্ত্রসাধনার যোগ রয়েছে নাকি, পারিবারিক শত্রুতার জেরেই খুন? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

Next Article