কলকাতা: এসএসসি মামলার রায়ে বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্যানেল। যোগ্য-অযোগ্য সবার চাকরি বাতিল হয়েছে। এসএসসি মামলার রায়ের পর এবার টিভি নাইন বাংলায় অকপট মধ্য শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের পাশে যাঁরা এতদিন ছিলেন, তাঁদের একাংশকে নাম না করে বিঁধলেন পর্ষদ সভাপতি। বললেন, ‘যাঁরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে থেকে নামি-দামী হয়েছেন, তাঁরা গতকাল থেকে নিশ্চুপ।’
উল্লেখ্য, ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সাদা ওএমআর শিট জমা দিয়েও চাকরি পাওয়ার নমুনা রয়েছে। তাহলে কি পর্ষদের হাত থেকে শূন্য পাওয়া ব্যক্তিকেও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে? সেই প্রশ্নে রামানুজবাবু স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, সুপারিশপত্র ছাড়া একটিও নিয়োগ হয়নি। মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি বললেন, ‘আমরা যে নিয়োগপত্র দিয়েছি, তা সুপারিশের ভিত্তিতেই দিয়েছি। এটা আমরা হলফনামাও দিয়েছি।’ উল্লেখ্য, এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম হল, প্রথমে স্কুল সার্ভিস কমিশনের থেকে সুপারিশ দেওয়া হয় মাধ্যমিক বোর্ডকে। তারপর সেই সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগপত্র বিলি করে পর্ষদ। তাহলে কি পরোক্ষে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কোর্টেই বল ঠেলে দিলেন মধ্য শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি? সেই প্রশ্নও উঠে আসছে।
উল্লেখ্য, মধ্য শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে দায়িত্বে এসেছেন রামানুজবাবু। পূর্বসূরির সময়ের ঘটনার প্রসঙ্গে বললেন, ‘যদি কিছু হয়ে থাকে সেটা সমর্থন করছি না। ব্যক্তি রামানুজ তাঁর দায়িত্ব পালন করছে।’ তাঁর বক্তব্য, ‘ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিভেদ করা খুব দরকার।’