
কলকাতা: শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপর হামলার অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় আটচল্লিশ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এরপর সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে বসল তৃণমূলপন্থী শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা। সেখানে বামপন্থী পড়ুয়াদের ‘ক্রিমিনালের’ সঙ্গে তুলনা করেন তারা।
ওয়েবকুপার সদস্য সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা যাদবপুর দখল করতে যাইনি। যাদবপুরে সাম্রাজ্য বিস্তার করতেও যাইনি। তিনহাজার অধ্য়াপককে নিয়ে একটা সফল সভা যাতে কোনও ভাবে করা না যায় তার পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল। আর এই পরিকল্পনার শিকার মাননীয় সভাপতি ব্রাত্য বসু।”
সুমনবাবু বলেন, “এগারোটা থেকে গণ্ডগোলের শুরু। আমরা অনুরোধ করেছিলাম ডেপুটেশন জমা দেওয়ার জন্য। তবে বারবার অনুরোধের পরও এসএফআই ছাড়া আর কেউ ডেপুটেশন দেননি। এরপর চারটের সময় ব্রাত্যবাবু বেরিয়ে গাড়িতে উঠতে গেছিলেন।” তিনি আরও বলেন, “ওঁর গাড়ির উপর নাচানাচি করা হয়েছে উইন্ড স্ক্রিন ভেঙে ফেলা হয়েছে। ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। আমরা তখনই আশঙ্কাপ্রকাশ করছিলাম উনি যে কোনও মুহূর্তে পড়ে যেতে পারেন। ওঁর ঘাড়ে আঘাত করা হয়েছএ। এবং যে শব্দবন্ধ ব্যবহার হয়েছে। সুষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনও সুস্থ পড়ুয়া এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করতে পারে না।”
তৃণমূলপন্থী শিক্ষকদের দাবি, এই কথা শুধু ব্রাত্যবাবুকে বলা হয়েছে তা নয়, যারা যারা ওঁদের থামাতে চেয়েছে। তাঁদের উদ্দেশ্যেও এই ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে।