Priyadarshini Mallick: প্রিয়দর্শিনীকে নিয়ে চর্চায় কতটা অস্বস্তিতে সংসদ? মুখ খুললেন সভাপতি

Priyadarshini Mallick: যে সময় কর্মীদের সবথেকে বেশি তৎপরতার সঙ্গে কাজ করতে হয়, সেই সময় এমন প্রচার ভাল চোখে দেখছেন না চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষারও আর বেশি দিন বাকি নেই।

Priyadarshini Mallick: প্রিয়দর্শিনীকে নিয়ে চর্চায় কতটা অস্বস্তিতে সংসদ? মুখ খুললেন সভাপতি
সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যImage Credit source: GFX- TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Nov 01, 2023 | 1:23 PM

কলকাতা: শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। বিশেষত নিয়োগে দুর্নীতির ক্ষেত্রে যেভাবে একাধিক প্রাক্তন আধিকারিকের যোগ সামনে এসেছে, তাতেই অস্বস্তি বেড়েছে যথেষ্ট। প্রাক্তন মন্ত্রী থেকে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি এখন জেলবন্দি। এবার নতুন ‘অস্বস্তি’র নাম প্রিয়দর্শিনী মল্লিক? সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিবের পদে বসেছেন রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বনমন্ত্রীর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ে প্রিয়দর্শিনী। শুধুমাত্র তাঁর বাবা বর্তমানে ইডি হেফাজতে আছেন, তাই নয়, ইডি-র তদন্তে প্রিয়দর্শিনীকে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সেই বিষয়ে এবার মুখ খুললেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।

গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে সংসদের সচিবকে নিয়ে আলোচনা চলছে, তা ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘সংসদকে নিয়ে যে ধরনের আলোচনা চলছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এটা কাম্য নয়। আমি বলতে চাই যা চলছে, তার সঙ্গে দূর পর্যন্ত সংসদের কোনও সম্পর্ক নেই।’ এমন আলোচনা যে সংসদকে অস্বস্তিতে ফেলেছে, সে কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন সভাপতি।

তিনি বলেন, সামনেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে পুরোদমে। এর মধ্যে এই ধরনের নেগেটিভ পাবলিসিটি হওয়া উচিত নয়। আগামী ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের প্রতিনিধিদের জেলা সফর। জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। যে সময় কর্মীদের সবথেকে বেশি তৎপরতার সঙ্গে কাজ করতে হয়, সেই সময় এমন প্রচার ভাল চোখে দেখছেন না চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।

তবে সচিব পদ থেকে প্রিয়দর্শিনীকে সরানো উচিত কি না, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি সংসদ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমার কোনও বক্তব্য নেই। আমি সরকারের ওপর আস্থাশীল। সরকার নিশ্চয় সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।’

উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে সংসদ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, যাতে প্রিয়দর্শিনীর স্বাক্ষর ছিল। এর কয়েক ঘণ্টা পর ফের প্রকাশ হয় একই বিজ্ঞপ্তি। দেখা যায়, প্রিয়দর্শিনীর স্বাক্ষরের জায়গায় সই করেছেন সংসদ সভাপতি। সেই বদল নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল শিক্ষা মহলে।