কলকাতা: জয়েন্টে (WBJEE) প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রুবির দিল্লি পাবলিক স্কুলের মহম্মদ সাহিল আখতার। কসবার বোসপুকুরের বাসিন্দা সাহিল অবশ্য বলছেন, তিনি জয়েন্টের রেজাল্ট (WBJEE Result 2023) নিয়ে একেবারেই টেনশনে ছিলেন না। টিভি নাইন বাংলাকে জানালেন, মেধাতালিকার প্রথম দশে থাকবেন, সেটা আশা করেছিলেন। কিন্তু প্রথম হয়ে যাবেন তা একেবারেই ভাবেননি। বললেন, ‘খুব বেশি টেনশন নিইনি। ফলপ্রকাশের সময়ে আসলে ঘুমোচ্ছিলাম। সংবাদমাধ্যমের থেকেই জানতে পারি বিষয়টা। ভাল ফল হয়েছে, এটা ভেবেই স্বস্তি হচ্ছে। কিন্তু প্রথম হব নাকি দ্বিতীয় হব, সেসব নিয়ে আমি কখনও ভাবিনি।’
দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় ৯৬ শতাংশ নম্বর এসেছিল সাহিলের। নম্বরে সন্তুষ্ট হলেও, জয়েন্টের রেজাল্ট জানার পর আরও খুশি তিনি। দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষা প্রসঙ্গে নিজেই জানালেন, ‘ইংরেজি পরীক্ষায় যতটা আশা করছিলেন, ততটা হয়নি।’ তবে আজকের এই সাফল্য সহজে আসেনি তাঁর। নিজেই জানালেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে প্রতিদিন গড়ে ১২-১৪ ঘণ্টা ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি।‘ পড়াশোনার পাশাপাশি গান-বাজনার প্রতিও ঝোঁক রয়েছে একটু। পড়াশোনার ফাঁকে অবসর সময়ে যখনই সুযোগ মিলত, একটু কিবোর্ড বাজিয়ে নিতেন। এতে কিছুটা রিফ্রেশও হয়ে যেতেন তিনি। তবে কিবোর্ড বাজাতে গিয়ে যাতে পড়াশোনার ক্ষতি না হয়ে যায়, সেই দিকেও নজর রাখতেন নিজেই।
আজকের এই সাফল্যের জন্য প্রথম কৃতিত্ব নিজের বাবা-মাকেই দিচ্ছেন সাহিল। বললেন, ‘আমার কিছু শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়েছিল গত দুই বছরে। বাবা-মা আমাকে সবসময় শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে সাপোর্ট করে গিয়েছেন।’ এর পাশাপাশি নিজের দাদার অবদানের কথাও ভোলেননি তিনি। তাঁর দাদা, দিল্লির আইআইটির পড়ুয়া। পড়াশোনার ক্ষেত্রে যখন যা সাহায্য দরকার হয়েছে, দাদাকে সবসময় পাশে পেয়েছেন। একইসঙ্গে স্কুলের ও কোচিংয়ের শিক্ষকদেরও অবদানের কথা উল্লেখ করলেন। তবে তাঁর কথায়, ‘এই সবই হল গোটা অবদানের ১০ শতাংশই। বাকি ৯০ শতাংশ প্রস্তুতি পড়ুয়াদের নিজেদেরই করতে হয় বলে আমি মনে করি।’
আগামী দিনে অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে গবেষণা করতে চান সাহিল। পদার্থবিদ্যা ও কম্পিউটার সায়েন্সের দিকেও ঝোঁক রয়েছে তাঁর। ভবিষ্যতে আমেরিকায় গিয়ে MIT থেকে পদার্থবিদ্যা ও কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে গবেষণা করতে চান তিনি। অন্য কিছুর তুলনায় গবেষণামূলক পড়াশোনাই তাঁর বেশি পছন্দের। কারণ, এতে শুধু পেট চালানোর জন্য চাকরি নয়… তিনি নতুন কিছু জানার ও শেখার সুযোগ পাবেন।