
কলকাতা: সকাল থেকে মেঘলা আকাশ। মাঝে মধ্যেই বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার যে অতি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে, আজ শুক্রবার তা অবস্থান করছে ওড়িশার সম্বলপুরের কাছাকাছি। এটি ক্রমশ উত্তর ওড়িশার উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে বলে জানা গিয়েছে। পরবর্তীতে এর অভিমুখ থাকবে ছত্তিসগঢ়ের দিকে।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, উত্তরবঙ্গের দিকে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প প্রবেশ করছে। এর ফলে আগামী কয়েকদিন ধরে বাড়বে বৃষ্টি। আগামী ২৪ ঘন্টায় পশ্চিমের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
২৪ ঘন্টা পর দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কিছুটা কমবে। চলবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত। এই নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তরবঙ্গে আজ থেকে বৃষ্টিপাত অনেকটাই বাড়বে। উত্তরবঙ্গে সমস্ত জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা। আর ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে। কোচবিহার ও কালিম্পং-এও হবে ভারী বৃষ্টি। একদিকে রয়েছে হড়পা বান ও ধসের ভয়, এই মধ্যে উত্তরবঙ্গের উপরে পাঁচটি জেলায় লাল সর্তকতা এবং কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
৫ অক্টোবর থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ উত্তরবঙ্গে খানিকটা কমে যাবে। ৬ তারিখ থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি প্রায় পুরোপুরি কমে যাবে। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গে ২৪ ঘন্টা পর থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবে। গভীর নিম্নচাপের ফলে উপকূলের জেলাগুলিতে ৩৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। তাই আগামী ২৪ ঘণ্টা মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার চন্দননগর ও সন্দেশখালিতে কয়েক মিনিটের টর্নেডোয় তছনছ হয়ে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এইগুলো নিম্নচাপের সময় হতেই পারে। যখন কোনও নিম্নচাপ বা গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়, তখন বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয় এবং দমকা হওয়ার সৃষ্টি হয়। সেই দমকা হওয়ার ফলেই এই টর্নেডো তৈরি হতে পারে। সেই কারণেই এই টর্নেডো হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।