কলকাতা: বঙ্গোপসাগরের উপরে নিম্নচাপ সক্রিয় অবিরাম বর্ষণ গত দু’দিন ধরে। বর্ষণের জেরে জলমগ্ন শহর কলকাতা ও শহরতলি বিস্তীর্ণ এলাকা আর টানা বর্ষণের জেরেই গঙ্গার জল বিপদসীমার ওপর থেকে বইছে । এক টানা প্রবল বৃষ্টির জের। একাধিক জায়গায় ধস নেমে রাস্তা বন্ধ। একাধিক জায়গায় যান চলাচল বন্ধ। গঙ্গার জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বাগজোলা খাল থেকে জল ঢুকছে, ফলে পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ।
সুস্পষ্ট নিম্নচাপ বাংলাদেশের খুলনার কাছাকাছি অবস্থান করছে। আজ বাংলার ওপর দিয়ে বিহারের দিকে যাবে সেটি। মুর্শিদাবাদ, বীরভূমের ওপর দিয়ে নিম্নচাপটি বিহার-ঝাড়খণ্ডের দিকে যাবে। তার জেরে অতি ভারী বৃষ্টি সতর্কতা রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। এই তিন জেলার দু’এক জায়গায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
রাতভর বৃষ্টিতে ভাসছে তিলোত্তমা। গঙ্গার লকলেট গুলি খুলে দেওয়া হচ্ছে। জল ডুকছে নিউটাউনের বিস্তীর্ণ এলাকায়। পঞ্চায়েত ও সেচ দফতরের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। রাতভর বৃষ্টিতে জলের তলায় কলকাতার একাংশ। ভাসছে সল্টলেক।
জেলাগুলির অবস্থাও একইরকম। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল এলাকার পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল, পাথরপ্রতিমা, সাগর এলাকা থেকে মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
নিম্নচাপের জের। বুধবার রাত থেকেই গোটা রাজ্য ভাসছে। কখনও ঝিরঝিরি, কখনও মুষলধারে। এখনও কতক্ষণ বৃষ্টি চলবে, তা বলা যাচ্ছে না। আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা, আগামিকালও ভাসবে রাজ্য। ইতিমধ্যেই ৬ জেলায় জারি লাল সতর্কতা। টানা বৃষ্টিতে প্রমাদ গুনছে বাংলা। আরও পড়ুন: দেবাঞ্জনের দেওয়া ভ্যাকসিন আসল ছিল না নকল? অবশেষে জানাল সেরাম ইন্সটিটিউট