কলকাতা: ভোর থেকে একটা শিরশিরে ভাব। হাতে-পায়ের চামড়ায় টান ধরছে। তবে এরই মধ্যে কখনও কখনও দেখা যাচ্ছে আকাশের মুখ ভার। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় একই পরিস্থিতি। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ফের বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে? তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কলকাতায় আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
আজ, শুক্রবার কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৭ শতাংশ। কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই। পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।
তবে শীত কবে থেকে আসছে, সে বিষয়ে এত আগে থেকে কোন বার্তা দেওয়া সম্ভব নয়। স্বাভাবিক তাপমাত্রা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম প্রান্তের জেলাগুলিতে বিশেষত পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এই সমস্ত জায়গায় সকালের দিকে বিশেষত ভোরের দিকে তাপমাত্রা ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে।
গত কয়েক দিনে মেঘলা আকাশ থাকার জন্য সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস নেমে গিয়েছিল। আগামী দু’দিনে আবারও এই তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি বাড়বে। রাতের তাপমাত্রার ক্ষেত্রে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় যেমন ছিল কম বেশি তেমনটা থাকলেও এর পর থেকে দু’ থেকে তিন ডিগ্রি নামতে পারে তাপমাত্রা। এক কথায় বলা যায় শীতের হালকা আমেজ অনুভূত হবে । ২৩ অক্টোবরের মধ্যে পুরো পশ্চিমবঙ্গ থেকেই পাত্তারি গুডিয়েছে বর্ষা। ২৬ অক্টোবর দেশের সমস্ত রাজ্য থেকেই বর্ষা বিদায় নিয়েছে। কিন্তু তারপরও মাঝেমধ্যেই আকাশের মুখ ভার থাকছে।
সেই পুজোর আগে থেকে শুরু হয়েছিল ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টির পূর্বাভাস। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছিলেন, অষ্টমী থেকেই বাংলায় খেল দেখাবে নিম্নচাপ। এক নিম্নচাপের জের কাটতে না কাটতেই আরেক নিম্নচাপ। যাকে বলে বিপদের ঘাড়ে বিপদ। পুজোর আগ থেকেই বানভাসি দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। পুজো দিনগুলোও আরামবাগ, হুগলি, খানাকুল, ঘাটালের দুর্গতদের রাত কেটেছে ত্রিপলের নীচেই মুড়ি-বাতাসা খেয়ে।
দুর্যোগ যেন পিছু ছাড়ে নি। দুর্গাপুজোর পর ফের লক্ষ্মীপুজোতেও নিম্নচাপ। সকাল থেকে ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টি আর সঙ্গে প্যাচপ্যাচে গরম। অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছিল বঙ্গবাসী। তবে গত পরশু থেকে আবহাওয়ায় একটা বেশি পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। স্নানের পর বেশ ভালোই চামড়ায় টান অনুভব হচ্ছে। ফাঁটছে ঠোঁটও। আগে তো অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই এই বিষয়টা অনুভব করা যেত। এখন ‘এক্সটেন্ডেড’ বর্ষার তা আর হয়ে ওঠে না। তবে আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস, আপাতপক্ষে মনে হচ্ছে, এবার পাততাড়ি গুটিয়েছে বর্ষা। তবে শীত কবে থেকে পড়বে, তার উত্তর এখনও অধরা।
আরও পড়ুন: Fire Crackers: কালীপুজোর আগে প্রচুর পরিমাণ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত, পুলিশের জালে ১