কলকাতা: ফের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। এবার অভিযোগের আঙুল সৎ বাবার দিকে। ঘটনাস্থল বেহালা। অভিযোগ, বাবা নিয়মিত মদ খেতেন। এরপরই এরকম কিছু ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছে এলাকার লোকজন। তবে তাঁদের দাবি, দেখে কখনও ওই লোককে এরকম মনে হয়নি। জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লেও প্রথমে বাড়ির লোকজন বিষয়টি সামনে আনেনি। ওই নাবালিকা বাড়ির বাইরে কলে জল আনতে যেত। তাতেই প্রথম বিষয়টি নজরে আসে এলাকার লোকজনের। শুক্রবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়। নির্যাতিতার মা ও পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। অন্যদিকে ওই নাবালিকাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিনই ধৃতকে আলিপুর আদালতে তোলা হবে। ঘটনা খতিয়ে দেখছে বেহালা থানার পুলিশ। স্থানীয়দের কথায়, এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকে ওই পরিবার। স্বামী, স্ত্রী, দুই মেয়ে। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ওই ব্যক্তির সৎ মেয়ে। অভিযোগ, এই পরিবারের লোকজনের ব্যবহার খুব একটা স্বাভাবিক নয়। ভাড়ার টাকা ঠিক মতো দেন না। যা নিয়ে ওই বাড়ির মালিক, বাকি ভাড়াটের সঙ্গেও প্রায়ই ঝামেলা হয়।
পাশের ঘরেই থাকেন এক মহিলা। তিনিও পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। তাঁর বক্তব্য, “সাত মাস হল ওরা ভাড়া এসেছে। তিন মাস হলে চুক্তি শেষ হবে। এর মধ্যে একদিন মেয়েটা জল আনতে গিয়েছিল। দেখেই কেমন একটা লাগছিল। মেয়েদের চোখ তো আর এড়ায় না। দেখে মনে হল পেটটা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আমরা নিজেদের মধ্যেই এ নিয়ে বলাবলি করছিলাম। খেয়াল করে দেখলাম, মেয়েটা খালি কাপড় টেনে পেট ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তখনই সন্দেহ হয়।” এরপরই এই ঘটনা।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলার আগের স্বামী তাঁকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এরপরই দুই মেয়েকে নিয়ে পঞ্জাব থেকে চলে আসেন। এখানে দ্বিতীয়বার সংসার পাতেন। তবে মেয়েরা আগের পক্ষের। স্থানীয়রা জানান, সাত মাস আগে বেহালায় ভাড়া আসে এই পরিবার। এক বছরের চুক্তিতে ঘর ভাড়া নেয় তারা। পড়শিদের কথায়, বিষয়টা ঠিক পরিষ্কার হচ্ছে না। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, কেউ কিছু টের পেলেন না কীভাবে, বেহালা পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।