কলকাতা: গেমিং অ্যাপকাণ্ডে ফের শহরজুড়ে তল্লাশি। গিরিশ পার্ক, নিউ মার্কেট, বেহালা, পার্ক স্ট্রিট-সহ ৯ জায়গায় অভিযান চালাল কলকাতা পুলিশ। বৃহস্পতিবার অভিযান চালায় তারা। টালিগঞ্জের উৎসব ভবনে কলকাতা পুলিশের পাঁচ থেকে ছ’জনের একটি দল যায় এদিন। ই-নাগেটস গেম অ্যাপ জালিয়াতি চক্রের পাশাপাশি আমির খানের কল সেন্টারের ব্যবসার আড়ালে ভরতপুর গ্যাংয়ের ‘সেক্সটর্শান’-এর ছায়া থাকতে পারে বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা।
চতুর্থীর কলকাতায় এদিন সকাল থেকে নেমে পড়ে কলকাতা পুলিশের দল। পার্ক স্ট্রিটের এলিয়ট রোড, রফি আহমেদ কিদওয়াই রোড, দমদম নাগেরবাজার, নিউ মার্কেটের নিগম সেন্টার, মহাবীরতলা টিসি রোডের উৎসব বিল্ডিং, বেকবাগানের পদাতিক বিল্ডিং, গিরিশ পার্ক, পদ্মপুকুরের ধামী, পোস্তা এমডি রোডে এদিন পুলিশ হানা দেয় বলে সূত্রের খবর।
সেই অভিযানেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে বলে সূত্রের দাবি। উত্তর কলকাতায় অভিযানে পুলিশের হাতে ‘সেক্সটর্শান’ তত্ত্ব উঠে আসে বলে সূত্রের খবর। যার ভিত্তিতে একটি পৃথক মামলা রুজু হয়েছে গিরিশ পার্ক থানায়। সূত্রের খবর, এদিন ন’ জায়গার অভিযান চালিয়ে চুর কম্পিউটার, ল্যাপটপ, আধার কার্ড করেছে পুলিশ। বেশ কিছু ভুয়ো সংস্থারও খোঁজ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। এই সংস্থাগুলিতে গেমিং অ্যাপের ব্যবসা থেকে উঠে আসা টাকা ব্যবহার করা হতো বলেই সূত্রের দাবি।
ভরতপুর গ্যাং কীভাবে কাজ করে? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণত ফেসবুকের ফেক প্রোফাইল থেকে মহিলার নামে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হয় পুরুষদের। যারা সেই ফাঁদে পা দেন এবং বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ করেন, তাঁদের সঙ্গে মেসেঞ্জারে চ্যাটিং শুরু হয়। কথাবার্তা ক্রমশ এগোতে থাকতো। চ্যাট বক্সে চলে অশ্লীল ভিডিয়ো আদান-প্রদান। এই রগরগে কথোপকথন কিছুদিন এগোনোর পর সেই চ্যাটের স্ক্রিনশট নিয়ে শুরু হয় ব্ল্যাকমেল করা। টাকা না দিলে ভিডিয়ো চ্যাট রেকর্ড করে প্রকাশ্যে আনা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন সময়। ভরতপুর গ্যাংয়ের কায়দায় গার্ডেনরিচের আমির খানও ব্যবসা চালাতেন বলে সন্দেহ পুলিশের। তদন্তে বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।