
কলকাতা: বাংলায় দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের কাজ। যে রাজ্যে এসআইআর নিয়ে দেখা গিয়েছে সবচেয়ে বেশি গর্জন। সেই রাজ্য়কেই ‘এগিয়ে’ থাকার খেতাব দিল কমিশন। গত মঙ্গলবার একই সঙ্গে দেশের ১২ রাজ্যে শুরু হয়েছিল এসআইআর-এর কাজ। তবে এখনও পর্যন্ত অন্য় রাজ্যগুলির তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে বাংলা, বলছে কমিশন।
পাশাপাশি ফর্ম প্রিন্ট থেকে বিএলও-দের প্রশিক্ষণ ইত্য়াদি ভাল হয়েছে বলেই মত কমিশনের। এক কথায় ‘সন্তুষ্ট’ নয়াদিল্লি। বিএলও-দের কাজ নিয়ে করেছে প্রশংসা। কমিশন প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত রাজ্যের ২ কোটি ১ লক্ষ ভোটারের হাতে ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের কাজে ব্যবহৃত Enumeration Form তুলে দিয়েছেন বিএলও-রা।
এসআইআর শুরু একেবারে প্রাক্কালে বিএলও-দের মধ্য়ে তৈরি হয়েছিল ক্ষোভ। যা প্রকাশ্যে এসেছিল নজরুল মঞ্চের প্রশিক্ষণ পর্বে। মোট তিনটি দাবি ঘিরে কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিএলও-রা। উল্লেখ্য, এই বিএলও-রা আসলে রাজ্য়ের সরকারি কর্মচারী। মূলত বেশির ভাগই শিক্ষক। সুতরাং কমিশনের কাজের জন্য তাঁদের স্কুলে ফাঁকি হবে বললেই চলে। একদিকে যেমন ক্লাসে ফাঁকি। তেমনই পড়বে গরহাজিরা। যা নিয়েই ক্ষোভ বিএলও-দের। তিনটি দাবির মধ্যে তাঁদের প্রথম দাবি, কমিশনের কাজ করলে স্কুলে দেখাতে হবে ‘অন ডিউটি’। এই দাবিতে মান্যতা দিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি কমিশন। তবে একাংশ বলছেন, হাভেভাবে অনুমতি দিতে দিয়েছে তাঁরা।
বিহারের ক্ষেত্রে বিএলও-দের কাজকে ‘ফুল-টাইম’ বলে উল্লেখ করেছিল নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার জেলাশাসকদের হাত ঘুরে এই সংক্রান্ত একটি বিবৃতি পৌঁছে গিয়েছে বাংলার বিএলও-দের কাছে। তাতেও উল্লেখ করা হয়েছে, সেই ‘ফুল-টাইম’ শব্দবন্ধনী। যা ঘিরে স্বস্তির আকাশ দেখছেন বিএলও-দের একাংশ। সেই বিবৃতিতে কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে, এসআইআর ‘ফুল-টাইম জব’। ফলে স্কুলের কাজ আপাতত সেভাবে না করলেও চলে বলেই মনে করছেন বিএলও-রা। আর শিক্ষা দফতরও যেহেতু স্কুলে যাওয়ার বিষয়ে নতুন কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি তাই আপাতত শুধু নিবিড় পরিমার্জনের কাজেই মন দিতে পারবেন বলে মনে করছেন তাঁরা। তবে সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় বিএলও-দের ‘অন-ডিউটি’ দাবিকেও অলিখিত ভাবে মান্যতা দিয়েছেন ইআরও-রা।