
কলকাতা: বিধানসভায় উল্লেখপর্বে খিদিরপুর আগুনে সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে সরব হন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার ব্যাখ্যা দিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিনের বিধানসভায় তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য বলেন, “আগুন ধরার পর সেই জায়গাতেই প্রমোটিং হয়েছে, এমন ঘটনা, কলকাতা তথা রাজ্যের কোথাও নেই। আগুনের পরে একটা বড় বিল্ডিং হয়েছে এমন দৃষ্টান্তও নেই। উল্টে পুনর্বাসন করতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, খিদিরপুর বাজারে অগ্নিকাণ্ডের পর সিপিএম ও বিজেপির তরফ থেকে ম্যান মেড আগুনের তত্ত্ব তুলে ধরা হচ্ছিল। অভিযোগ উঠছিল, ওই এলাকায় প্রমোটিংয়ের চক্রান্ত করা হচ্ছে। দমকল কেন দেরিতে পৌঁছয়, তা নিয়েও সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই প্রশ্নের অবশ্য উত্তর বিধানসভাতে দাঁড়িয়েছিলেন দিয়েছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। এদিন বিধানসভার উল্লেখপর্বে এই ইস্যুটি উত্থাপিত হলে জবাব দেন ফিরহাদ।
মন্ত্রী জানান, গত ১৪ বছরে অগ্নিকাণ্ডে রাজ্যে ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে ১৩০ টি দমকল স্টেশন রয়েছে এখনও পর্যন্ত। চলতি বছরই কলকাতায় ১২ টি বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। শুভেন্দুর বক্তব্য অনুযায়ী, জাতীয় রেকমেনডেশন কমিটির তথ্য অনুযায়ী, এখানে ২০০০ দমকল কেন্দ্র হওয়া উচিত, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমেত।
বিরোধীদের তরফ থেকে বলা হয়, ” সামগ্রিক ভাবে কলকাতা পুরসভা, দমকল, পুলিশ
মিলে জনস্বার্থে sop করুন। নতুন ফায়ার ব্রিগেড স্টেশন নেই। ব্যবস্থা নিন।” জবাবে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আমরা ইতিমধ্যেই sop করেছি।
শুধু সরকারকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।” মানুষের অসচেতনতার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর দাবি, “নারকেলডাঙা থেকে খিদিরপুর, হাওড়ার মঙ্গলাহাট- ঝুপড়ি এলাকাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পিছনে একটাই কারণ, অত্যন্ত মূল্যবান জমিগুলি দখল। ওই জায়গাটা কিছুদিন ফাঁকা পড়ে থাকবে, তারপর প্রোমোটিং হবে।”