
কলকাতা: এসএসসি-র নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনওভাবেই তাঁরা অংশ নেবেন না। এই আবেদন নিয়ে এবার বিধানসভায় চাকরিহারাদের একাংশ। নেতৃত্বে চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাস। তাঁদের বক্তব্য, প্রশাসনের থেকে অনুমতি নিয়েই তাঁরা বিধানসভায় এসেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে এই পরীক্ষা ও তাঁর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে স্পষ্ট বক্তব্য জানতে চান।
চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বলেন, “অযোগ্যদের তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। যদি এই তালিকাকেই শিরোধার্য বলে গণ্য করি, তাহলে বাকিরা যোগ্য। তাহলে নতুন করে তাঁরা কেন আবার পরীক্ষায় বসবে? মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এই পরীক্ষা স্থগিত করুক। যোগ্যদের নির্ভুল তালিকা প্রকাশ করুন। শিক্ষাকর্মীদের অবস্থা ভয়াবহ।” সুমন বলেন, “আমরা এখন মৃত্যুর পথযাত্রী। যে কোনও সময়ে যে কোনও কিছু হয়ে যেতে পারে।য আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি।কেন বিধানসভায় জরুরি অধিবেশনে এই বিষয়টা আসছে না? যোগ্য শিক্ষকরা তো কোনও পাপ করেনি। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে যাব।বিধানসভায় ৬ সদস্যের আমাদের প্রতিনিধি দলকে ডেকে নিন মুখ্যমন্ত্রী। আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসুন।”
তাঁর বক্তব্য, নতুন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে এসএসসি ২০১৬ প্যানেলের সকলকে একসঙ্গে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষাসচিব বিনোদ কুমার চেয়েছিলেন, কেবল ২০১৬ সালের যোগ্যদের মধ্যেই সিলেকশন প্রক্রিয়া হোক। তাঁর অভিযোগ, “নতুনদের সঙ্গে পুরনোদের মিশিয়ে দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া আসলে, ছাব্বিশের নির্বাচনের বৈতরণী পার করার প্রচেষ্টা মাত্র।” এর আগেও একাধিকবার রাস্তায় নেমে প্রশাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন সুমন। তাঁকে আটকও করে কলকাতা পুলিশ। পরে ছাড়া হয়।
উল্লেখ্য, এদিনই আবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে ‘দাগি’দের ‘বেচারা’ বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। যে সকল অযোগ্যদের চাকরি চলে গিয়েছে, তাঁদের জন্যও কিছু একটা ব্যবস্থা করার ভাবনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁদের গ্রুপ সি পদে কোনওভাবে নিয়োগ করা যায় কিনা, তা নিয়ে আলোচনা করবেন বলেও জানান। তাঁর কথায়, “এ সরকার মানবিক!”