
কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করতে হবে, এবার এই দাবিতে উত্তাল বিধানসভা। বুধবার বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ওয়াকআউট করেন তাঁরা। বিক্ষোভ দেখিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন তাঁরা।
বোলপুরের আইসি-কে ফোন করে হুমকি, কদর্য ভাষায় তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে কথা- গোটা বিষয়ে চলতি মাসের শুরু থেকেই তপ্ত বাংলার রাজনীতি। ঘরে-বাইরে চাপে পড়তে হয়েছে অনুব্রতকে। দলের নির্দেশে ক্ষমাও চেয়েছেন, দিয়েছেন হাজিরাও। কিন্তু বিষয়টি থিতিয়ে পড়তে দিতে নারাজ বিজেপি। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিধানসভা উত্তাল করেন বিজেপি বিধায়করা।
মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডল বিরুদ্ধে মুলতবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। অধিবেশনের শুরুতেই মহিলা বিজেপি বিধায়করা অনুব্রত মণ্ডলের কুকথা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলেন। তাঁদের দাবি, SRDA-এর চেয়ারম্যান অনুব্রত মোবাইলে যেভাবে পুলিশ অফিসার ও তাঁর স্ত্রীর প্রতি কদর্য ভাষা ব্যবহার করেছেন, তাতে মহিলা সমাজ অপমানিত। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ঠিক কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় SRDA অর্থাৎ রুরাল ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে অনুব্রতকে নিযুক্ত করেন। তারপর তিনি যখন গরু পাচার মামলায় জেলে যান, সেই ২ বছর ওই পদ ফাঁকাই থাকে। বুধবার বিজেপি বিধায়করা প্রশ্ন তোলেন, অনুব্রত কীভাবে সরকারি কর্মচারীকে গালি দিয়েও গুরুত্বপূর্ণ এই পদে বহাল থাকবেন? বিজেপি একটি মুলতুবি প্রস্তাব আনে। কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় । বিজেপি বিধায়করা তখন বিক্ষোভ দেখিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। শুরু হয় ওয়াকআউট।
এদিকে, অনুব্রতর ওপর চাপ বাড়াতে সক্রিয় জাতীয় মহিলা কমিশন। ডিজিকে চিঠি দিয়ে অনুব্রতর ফোন কেন বাজেয়াপ্ত করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। অনুব্রত মণ্ডল মোবাইল বা ডিজিটাল ডিভাইস অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।
এমনকি, অনুব্রত মণ্ডলকে জেরার সময়ে কোনও ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে কি না তা ডিজির দেওয়া আগের রিপোর্টে উল্লেখ নেই বলেও জাতীয় মহিলা কমিশনের গতকালের চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে।