West Bengal Assembly: ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে বিধানসভায় বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর, শুভেন্দুকে বলার সুযোগই দিলেন না স্পিকার

West Bengal Assembly: মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেই উঠে দাঁড়িয়ে বলার জন্য অনুরোধ করেন বিরোধীদল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু অধ্যক্ষ তাঁকে বলার অনুমতি দেয়নি। প্রথমার্ধের অধিবেশন শেষ হয়ে যায়। এরপর বিধানসভার ভেতরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপির বিধায়করা। পরে বাইরে এসেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

West Bengal Assembly: ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে বিধানসভায় বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর, শুভেন্দুকে বলার সুযোগই দিলেন না স্পিকার
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ফাইল ছবি)Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 10, 2025 | 1:19 PM

কলকাতা:  ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে বিধানসভায় ব্যাখ্যা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ১৭ শতাংশ সংরক্ষণ করেছিলেন, হাইকোর্ট সেটা বাতিল করে ৭ শতাংশ করেছে। এই নিয়ে আদালতে এখনও পর্যন্ত মামলা চলছে। সুপ্রিম কোর্টেও মামলা রয়েছে। ফলে ভর্তি বা চাকরির ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তিনি জানান, রাজ্য সরকার অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে বেঞ্চ মার্ক সার্ভে চালিয়েছে এবং পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষজনকে চিহ্নিত করে সেই তালিকাও তৈরি করেছে।

মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, এর সঙ্গে জাত ধর্মের কোন বিষয় নেই। রাজনৈতিক দলগুলো এই নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। একমাত্র পিছিয়ে পড়া অংশকে চিহ্নিত করেই এই কাজ করছে রাজ্য সরকার।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেই উঠে দাঁড়িয়ে বলার জন্য অনুরোধ করেন বিরোধীদল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু অধ্যক্ষ তাঁকে বলার অনুমতি দেয়নি। প্রথমার্ধের অধিবেশন শেষ হয়ে যায়। এরপর বিধানসভার ভেতরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপির বিধায়করা। পরে বাইরে এসেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ, “মুসলিম তোষণের সরকার চলছে। সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কি বিবৃতি দিতে পারেন?” কেন বিরোধীদের বলতে দেওয়া হলো না? প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ বিজেপির।

প্রসঙ্গত, গত ২২ মে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ ২০১০ সালের পর থেকে তৈরি রাজ্যের সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দেয়। হাই কোর্টের নির্দেশে প্রায় ১২ লক্ষ সার্টিফিকেট অকেজো হয়ে যায়। উচ্চ আদালতের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। হাই কোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরও।