কলকাতা: প্রথম দফার ৩০ টি আসনে ভোট শেষে অমিত শাহ বলেছিলেন, ২৬ টি আসনে জিতছে বিজেপি। দ্বিতীয় দফার পর বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ‘হয়তো’ ৩০ টি আসনেই জিতবে গেরুয়া শিবির। তৃতীয় দফার ভোটের পর অবশ্য আসন সংখ্যা ধরে কোনও দাবি করা হয়নি। তবে মুরলীধর সেন লেনের দাবি, নিশ্চিত জয়ের দিকে এগোচ্ছে পদ্মশিবির। একই সঙ্গে শাসকদলের খেলা হবে স্লোগানকে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, “তৃণমূল খেলতে নেমে ফাউল করছে।”
তৃতীয় দফায় ৩১ টি আসনে বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য বিজেপি সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার এবং বিজেপি নেতা দীনেশ ত্রিবেদী। বৈঠকে জয়প্রকাশ বলেন, “জোর যার ভোট তার। এই নিয়মে খেলতে নেমেই তৃণমূল ফাউল করছে। কিন্তু, তৃণমূলের ফাউল করাকে অতিক্রম করে মানুষ আজ গণতন্ত্রকে বিজয়ী করেছে। যেভাবে মানুষ এগিয়ে এসেছেন, তাতে আগামী দিনে বিজেপির বঙ্গ জয় যে সুনিশ্চিত, সেটা বলাই যায়।”
বিজেপি নেতা দীনেশ ত্রিবেদীর কথায়, “বাংলায় একটা নিঃশব্দ বিপ্লব চলছে। সেই কারণেই আধাসেনা এসে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। আগে তৃণমূলের কোনও বিকল্প ছিল না। এখন মস্ত বড় একটা বিকল্প চলে এসেছে। ফাউল না করে তৃণমূল জিততে পারবে না।”
আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল একটা পাপ, হুমকি দেওয়ার ক্ষমতা কে দিয়েছে সুজাতাকে?’ পালটা তোপ সৌমিত্রর
তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল খাঁ-কে বাঁশ হাতে তাড়া করা এবং আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নিয়েও এ দিন মুখ খোলেন জয়প্রকাশ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “বিজেপি হিংসায় বিশ্বাসী নয়। কিন্তু যে আড়ান্ডি গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘটনাটা ঘটেছে, সেটা তো তৃণমূল জিতেছিল। সেই গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলারা সুজাতার বিরুদ্ধে আক্রমণের অভিযোগ তুলেছেন। এই ঘটনার জন্য একমাত্র মাননীয়া দায়ী। কারণ উনিই গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার উস্কানি দিয়ে চলেছেন। মহিলাদের হাতা-খুন্তি নিয়ে বেরোতে বলছেন। এই ধরনের মন্তব্যের জন্যই আজ এমন পরিস্থিতি।” প্রসঙ্গত, এ দিন সাংবাদিক বৈঠকের পরই বিজেপিতে যোগ দেন অশোকনগরের সিপিআইএম নেতা চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: স্বপন দাশগুপ্তের নির্বাচনী এজেন্টকে বেধড়ক মারধর, আঙুল তৃণমূলের দিকে