শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিষেকের মানহানি মামলায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

গত ফেব্রুয়ারিতে বর্ধমানের সভায় তোলাবাজ ভাইপো বলে আক্রমণের পর শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) 

শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিষেকের মানহানি মামলায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
অলংকরণ-অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Updated on: Mar 03, 2021 | 5:37 PM

কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তি শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)-র। তাঁর বিরুদ্ধে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) দায়ের করা মানহানি মামলায় স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সংশ্লিষ্ট মামলার আর শুনানি হবে না বলে জানাল হাইকোর্ট।

কিছুদিন আগে বর্ধমানে এক রাজনৈতিক সভায় ভাষণ রাখতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘তোলাবাজ ভাইপো’ বলে আক্রমণ করেন অধুনা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর প্রেক্ষিতে বর্ধমানের নিম্ন আদালতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তিনি অভিযোগ করেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে তাঁকে। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে প্রমাণ ছাড়া আপত্তিকর মন্তব্য করে অভিষেকের সামাজিক প্রতিষ্ঠা নষ্টের চেষ্টার অভিযোগ করেন অভিষেকের আইনজীবী। তাই মানহানি মামলা করে শুভেন্দুর কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি করেন যুব তৃণমূলের সভাপতি। বুধবার সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে। বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদের সিঙ্গেল বেঞ্চ এই মামলার শুনানির উপর স্থগিতাদেশ দিল। ফলত, সংশ্লিষ্ট মামলার আর শুনানি হবে না।

প্রসঙ্গত, বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই ‘তোলাবাজ ভাইপো’র নামে একের পর এক সভা থেকে আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু। প্রথমে নাম না নিলেও পরে নাম করেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোলাবাজ বলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে গরু ও কয়লা পাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগ করেছেন একাধিকবার। সেই টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগও করেছেন।

আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটে কেন মোদীর ছবি? নির্বাচন কমিশনে দরবার তৃণমূলের

এছাড়া টেট নিয়োগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে টাকা তোলার মতোও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন অধুনা বিজেপি নেতা। এই প্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে অভিযোগ প্রত্যাহার করে ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি জানিয়ে শুভেন্দুকে আইনি চিঠি পাঠিয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার পথে হাঁটেননি শুভেন্দু। উলটে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়েছেন আরও। তার পরেই বর্ধমানের নিম্ন আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। তবে এদিন হাইকোর্টের নির্দেশের পর আইনি ঝামেলা থেকে কিছুটা স্বস্তি পেলেন শুভেন্দু অধিকারী।