৫০ হাজার ভোটে হারতে নন্দীগ্রামে গিয়েছেন মমতা, প্রার্থী হয়েই হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
''আমার কাছে ৫০ হাজার ভোটে হারবেন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) হেলিকপ্টারে করে নন্দীগ্রামে গিয়েছেন'', চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন শুভেন্দু
কলকাতা: নন্দীগ্রাম-সহ বাংলায় বিজেপির পতাকা উত্তোলনের জন্য আমি তৈরি। ব্রিগেডকে ঐতিহাসিক করে তুলতে হবে। মোদীর সভায় থেকে আওয়াজ তলুন সোনার বাংলা গড়ার, ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়তে হবে। নন্দীগ্রাম (Nandigram) থেকে প্রার্থী ঘোষণার পর প্রথম সভা বেহালা থেকে এমনই ঘোষণা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)’র। তাঁর কথায়, “শুধু মিছিল করব, কেন্দ্রীয় সরকার জবাব চাই, জবাব দাও। ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, চাকরি হচ্ছে না কেন- এই দিন এবার শেষ করতে হবে।” তিনি যোগ করেন, ”বিজেপির তরফ থেকে যে দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে, সেই দায়িত্ব আমি পালন করব। এবছর সবাই মিলে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার গড়ব।”
এদিন নন্দীগ্রামে পদযাত্রা করার সময়ও প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হয়নি শুভেন্দুর। তাঁর নাম ঘোষণার পর পুরোদমে প্রচারে নেমে পড়েছে বিজেপি। তারপর শনিবার রাতে বেহালার সভা থেকে শুভেন্দুর বার্তা, মোদীর সভায় মাঠ ভরাতে হবে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার পর তিনিই বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কিনা জানতে চাওয়া হলে অধুনা বিজেপি নেতার জবাব, ভারতীয় জনতা পার্টিতে এরকমভাবে কেউ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তাঁর কথায়, “আমি পার্টির একজন সৈনিক। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা দল নেবে। পাশাপাশি তাঁর কটাক্ষ, আমার কাছে ৫০ হাজার ভোটে হারবেন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) হেলিকপ্টারে করে নন্দীগ্রামে গিয়েছেন। তাঁর কথায়, “মমতা ব্যানার্জি ভবানীপুর ছাড়েননি, ভবানীপুর থেকে পালিয়ে গিয়েছেন। ভবানীপুর আসনেও বিজেপি জিতবে।”
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে নন্দীগ্রাম থেকে মমতা প্রার্থী হবে বলে ঘোষণা করতেই তাঁকে ‘আধ লাখ’ ভোটে হারানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেই সঙ্গে তাঁর চ্যালেঞ্জ ছিল যে কোনও একটি আসনে লড়ুন মমতা। কাকতালীয়ভাবে এবার ভবানীপুর আসনটি তৃণমূল দলের প্রথম বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে ছেড়ে দিয়ে নন্দীগ্রাম থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই প্রেক্ষিতে এদিন বিজেপিও ঘোষণা করে দিয়েছে নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়কই সেখানে ফের প্রার্থী হচ্ছেন। তার পরেই তৃণমূল নেত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন শুভেন্দু।
বেহালার সভা থেকে তৃণমূল ছাড়াও বামেদের উদ্দেশে শুভেন্দুর বার্তা, “সিপিএময়ের লোকেরা জানে পঞ্চায়েতের নমিনেশন করতে হলে, কর্পোরেশন ইলেকশন লড়তে গেলে, বিজেপিকে এরাজ্যে আনতে হবে। নাহলে পঞ্চায়েত, পুরসভা কোথাও সিপিএম নমিনেশন করতে পারবে না।”
আরও পড়ুন: বিজেপি-পুত্রের হয়ে প্রচারে তৃণমূল সাংসদ পিতা! নজিরবিহীন লড়াইয়ের সাক্ষী নন্দীগ্রাম
শুভেন্দুর কথায়, এক হাতে দিল্লির সরকার, এক হাতে রাজ্যে বিজেপি সরকার দিতে হবে। তবেই সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব। তিনি বলেন, যাঁরা ধর্মীয় কারণে উৎপীড়িত হয়ে বাংলায় এসেছেন তাঁদের বিভিন্ন জায়গায় বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে। এই জন্য নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ নাগরিকত্ব আইন, নাগরিকপঞ্জী নিয়ে এসেছে। নমশূদ্র, মতুয়ারা নাগরিকত্ব পাবেন।