কলকাতা: গাছের সঙ্গে সেলফি তুলেই দায় সারেন জন প্রতিনিধিরা! মাত্র পাঁচ জন বিধায়ক গাছ নিয়েছেন বন দফতর থেকে। বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার কথায় উঠে এসেছে গাছের চারা নিতে বিধায়কদের অনীহার কথা। বুধবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বনমন্ত্রী জানান, গতবছর প্রত্যেক বিধায়ককে এক হাজার চারা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গুটিকয়েক বিধায়ক ছাড়া কেউ গাছ নিয়ে যাননি বলে জানান বনমন্ত্রী।
চলতি বছর ১৪ই জুলাই থেকে ২০ জুলাই অরণ্য সপ্তাহ চলে। এই সময় গাছ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বনমন্ত্রী জানালেন, যে সকল বিধায়করা চিঠি দিয়ে জানাবেন গাছ নেবেন, তাঁদেরকেই গাছ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে গাছগুলোর রক্ষণাবেক্ষণও করা হবে। সেক্ষেত্রে পরিসংখ্যান দিয়ে বনমন্ত্রী জানান, এখনও পর্যন্ত পাঁচ জন বিধায়ক গাছ নিয়েছেন।
এখনও পর্যন্ত বিজেপির কোনও বিধায়ক গাছ নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেননি বলেও বনমন্ত্রী জানান। বনমন্ত্রী আরও জানান, আগে ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত ছিলেন, তাঁদের মাধ্যমে গাছ রক্ষণাবেক্ষণ করা হত। কিন্তু ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই কাজে কিছু সমস্যা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জন প্রতিনিধিদের এগিয়ে আসতে হবে। বনমন্ত্রীর কথায়, “এখন সামাজিক মাধ্যমের যুগে একদিন গাছ লাগাব উৎসব করব, ছবি তুলব, এটাই রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “শুধু গাছ লাগালেই হবে না, গাছটা বাঁচাতেও হবে। তার জন্য যে পদক্ষেপ করার করতে হবে।” পরিবেশের উত্তাপ বাড়ছে, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু সেক্ষেত্রেই অনীহা দেখা দিচ্ছে বলে সওয়াল করলেন বনমন্ত্রী খোদ।