কলকাতা: পরিষদীয় ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা রক্ষায় কড়া তৃণমূল। দলীয় হুইপ অমান্যকারীদের কমিটির সামনে হাজিরা দিতে নির্দেশ। সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূলের পরিষদীয় শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। অধিবেশনে অনুপস্থিতদের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের শেষে হবে এই বৈঠক। শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সামনে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে বিধায়কদের। দলীয় সূত্রে খবর, সেই সংখ্যাটা ৫০-এর বেশি।
সোমবার বৈঠকে বসেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিধানসভায় তিনটি খাতায় সাধারণভাবে সই করা হয়। দুটি খাতায় মন্ত্রীরা, আরেকটি খাতায় বিধায়করা সই করেন। তিনটি খাতাই এই মুহূর্তে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মোট কত জন অনুপস্থিত, দলের হুইপ থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট কোনও কারণ ছাড়া অনুপস্থিত থাকছেন, সেটা নিয়ে কাটাছেড়া চলছে বিধানসভার এদিনের তৃণমূলের পরিষদীয় বৈঠকে।
দল মনে করছে, এটা একেবারেই বালখিল্য একটা আচরণ। হুইপ দেওয়া হচ্ছে, তারপরও দিনের পর দিন বিধানসভায় অনুপস্থিত থাকছেন। দলীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েকজন বিধায়ক এটাকে অভ্যাসে পরিণত করেছেন। সেই কারণেই দল এবার কঠোর পদক্ষেপ করতে চাইছে।
হুমায়ুন কবীরের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে যেভাবে দলের তরফে পদক্ষেপ করা হয়েছিল, সেইভাবেই এগোচ্ছে এই শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। অর্থাৎ হুমায়ুনকে যেভাবে সশরীরে হাজিরা দিতে হয়েছিল, এই ধরনের বিধায়করা রয়েছেন, যাঁদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে বিধানসভা অভ্যন্তরে, তাঁদেরকেও সশরীরে হাজিরা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে ১৯ এবং ২০ মার্চ বিধানসভায় আসার জন্য হুইপ জারি করেছিল তৃণমূল। কিন্তু বুধবার, ১৯ মার্চ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকার দিন প্রায় ২১৫ জন বিধায়ক অনুপস্থিত থাকলেও ২০ মার্চ বৃস্পতিবার ৯০ এর মতো তৃণমূল বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন অধিবেশন কক্ষে। এই অনুপস্থিত বিধায়করা কারা সেটাই খুঁজছেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বিধানসভার তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষরা।